Dhaka , Friday, 6 December 2024
www.dainikchalonbilerkotha.com
শিরোনামঃ
চলনবিল ফ্রেন্ডস সোসাইটির মতবিনিময় সভা ভাঙ্গুড়ায় বিপ্লব ও সংহতি দিবস পালন হ্যাকিং ও হয়রানির সঙ্গে সম্পৃক্ত ১ লাখ ৭৯ হাজার ডিভাইস শনাক্ত করেছে ইমো ভাঙ্গুড়ায় নদীর স্রোতে ভেসে গিয়ে শিশু নিখোঁজ সৎ, নির্ভীক ও নির্লোভ সাংবাদিক মনিরুজ্জামান ফারুক: সাংবাদিকতার একটি অনন্য প্রতীক চলনবিলে এসে খালি হাতে ফিরলেন ৫ শতাধিক সৌখিন মাছ শিকারী সিংড়ায় ইসলামী আন্দোলনের মোটরসাইকেল শোভাযা ভাঙ্গুড়ায় জাতীয় সমবায় দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত ভাঙ্গুড়ায় জাতীয় যুব দিবস উদযাপন আলোচনা সভা ও চেক বিতরণ ভাঙ্গুড়ায় জিপিএ-৫ ও বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের সাফল্য সংবর্ধনা অনুষ্ঠান

অভয়নগরে ফাতেমা ক্লিনিকে প্রসূতিকে ভুল অস্ত্রোপচার, নবজাতকের মৃত্যু

মোঃ কামাল হোসেন, বিশেষ প্রতিনিধি


যশোরের অভয়নগরে নওয়াপাড়া ক্লিনিকপাড়ায় বেসরকারি হাসপাতালে অভিভাবকদের বিনানুমতিতে তহমিনা বেগম নামের এক প্রসূতিকে ভুল অস্ত্রোপচার করে নবজাতক হত্যা এবং জরায়ুর নাড়ি কেটে ফেলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। সোমবার (১৯ ডিসেম্বর) ভোরে উপজেলার নওয়াপাড়া ক্লিনিকপাড়া এলাকায় ফাতেমা হাসপাতাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক কমপ্লেক্সে এ ঘটনা ঘটে। মঙ্গলবার বিকেলে মৃত নবজাতকের বাবা এসএম সোহাগ হোসেন ওরফে মামুন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষসহ দায়িত্বরত ম্যানেজারের বিরুদ্ধে ন্যায়বিচার চেয়ে বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করেন।এসএম সোহাগ হোসেন অভয়নগর উপজেলার বাঘুটিয়া ইউনিয়নের বিভাগদী গ্রামের মো. ফিরোজ সরদারের ছেলে।মামুন অভিযোগ করে বলেন, গত ১৯ ডিসেম্বর আমার স্ত্রী তহমিনা বেগমের হঠাৎ প্রসব যন্ত্রণা শুরু হয়। তাকে ফাতেমা হাসপাতালে নিয়ে যাই। হাসপাতালের কর্তব্যরত ম্যানেজার তরিকুল ইসলাম ভর্তি করে দ্রুত তিন ব্যাগ রক্ত সংগ্রহ করতে বলেন। এরপর অনুমতি ছাড়াই তারা অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে অস্ত্রোপচার শুরু করেন। কিছু সময় পর ম্যানেজার তরিকুল বলেন রোগীর অবস্থা খুবই খারাপ। দ্রুত তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে। এরই মধ্যে আমরা জানতে পারি যে আমাদের সন্তান মারা গেছে এবং স্ত্রীর অবস্থাও আশঙ্কাজনক। সোহাগ হোসেন আরও বলেন, আমার স্ত্রীকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাই। সেখানে গাইনি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক আমার স্ত্রীর অবস্থা গুরুতর দেখে আইসিইউতে ভর্তি করেন। পরে সেখানকার চিকিৎসকরা জানান, ভুল অপারেশনের কারণে নবজাতকের মৃত্যু হয়েছে এবং আমার স্ত্রীর জরায়ুর নাড়ি কেটে ফেলা হয়েছে। আমি বিচার দাবি করে জেলা সিভিল সার্জন, উপজেলা চেয়ারম্যান, নির্বাহী কর্মকর্তা ও অভয়নগর থানায় লিখিত অভিযোগ করেছি। এ ব্যাপারে ফাতেমা হাসপাতালের ম্যানেজার তরিকুল ইসলাম অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, তহিমনা বেগম নামের রোগী ভর্তির সময় আমি হাসপাতালে ছিলাম না। তবে রোগীকে ওটিতে নেওয়ার পূর্বে বিভাগদী গ্রামের হামিদ সরদারের ছেলে ওয়াশিম অঙ্গীকারনামায় স্বাক্ষর করেছিলেন। অভয়নগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মেজবাহ উদ্দীন বলেন, নবজাতক হত্যার বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্তপূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার কাছে চিঠি পাঠানো হয়েছে।

Popular Post

চলনবিল ফ্রেন্ডস সোসাইটির মতবিনিময় সভা

অভয়নগরে ফাতেমা ক্লিনিকে প্রসূতিকে ভুল অস্ত্রোপচার, নবজাতকের মৃত্যু

আপডেটের সময় 01:29 am, Thursday, 22 December 2022

মোঃ কামাল হোসেন, বিশেষ প্রতিনিধি


যশোরের অভয়নগরে নওয়াপাড়া ক্লিনিকপাড়ায় বেসরকারি হাসপাতালে অভিভাবকদের বিনানুমতিতে তহমিনা বেগম নামের এক প্রসূতিকে ভুল অস্ত্রোপচার করে নবজাতক হত্যা এবং জরায়ুর নাড়ি কেটে ফেলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। সোমবার (১৯ ডিসেম্বর) ভোরে উপজেলার নওয়াপাড়া ক্লিনিকপাড়া এলাকায় ফাতেমা হাসপাতাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক কমপ্লেক্সে এ ঘটনা ঘটে। মঙ্গলবার বিকেলে মৃত নবজাতকের বাবা এসএম সোহাগ হোসেন ওরফে মামুন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষসহ দায়িত্বরত ম্যানেজারের বিরুদ্ধে ন্যায়বিচার চেয়ে বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করেন।এসএম সোহাগ হোসেন অভয়নগর উপজেলার বাঘুটিয়া ইউনিয়নের বিভাগদী গ্রামের মো. ফিরোজ সরদারের ছেলে।মামুন অভিযোগ করে বলেন, গত ১৯ ডিসেম্বর আমার স্ত্রী তহমিনা বেগমের হঠাৎ প্রসব যন্ত্রণা শুরু হয়। তাকে ফাতেমা হাসপাতালে নিয়ে যাই। হাসপাতালের কর্তব্যরত ম্যানেজার তরিকুল ইসলাম ভর্তি করে দ্রুত তিন ব্যাগ রক্ত সংগ্রহ করতে বলেন। এরপর অনুমতি ছাড়াই তারা অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে অস্ত্রোপচার শুরু করেন। কিছু সময় পর ম্যানেজার তরিকুল বলেন রোগীর অবস্থা খুবই খারাপ। দ্রুত তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে। এরই মধ্যে আমরা জানতে পারি যে আমাদের সন্তান মারা গেছে এবং স্ত্রীর অবস্থাও আশঙ্কাজনক। সোহাগ হোসেন আরও বলেন, আমার স্ত্রীকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাই। সেখানে গাইনি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক আমার স্ত্রীর অবস্থা গুরুতর দেখে আইসিইউতে ভর্তি করেন। পরে সেখানকার চিকিৎসকরা জানান, ভুল অপারেশনের কারণে নবজাতকের মৃত্যু হয়েছে এবং আমার স্ত্রীর জরায়ুর নাড়ি কেটে ফেলা হয়েছে। আমি বিচার দাবি করে জেলা সিভিল সার্জন, উপজেলা চেয়ারম্যান, নির্বাহী কর্মকর্তা ও অভয়নগর থানায় লিখিত অভিযোগ করেছি। এ ব্যাপারে ফাতেমা হাসপাতালের ম্যানেজার তরিকুল ইসলাম অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, তহিমনা বেগম নামের রোগী ভর্তির সময় আমি হাসপাতালে ছিলাম না। তবে রোগীকে ওটিতে নেওয়ার পূর্বে বিভাগদী গ্রামের হামিদ সরদারের ছেলে ওয়াশিম অঙ্গীকারনামায় স্বাক্ষর করেছিলেন। অভয়নগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মেজবাহ উদ্দীন বলেন, নবজাতক হত্যার বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্তপূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার কাছে চিঠি পাঠানো হয়েছে।