Dhaka , Saturday, 27 July 2024
www.dainikchalonbilerkotha.com

অভয়নগরে বিদ্যুৎতে পুড়ে কনকের মৃত্যু, অবশেষে আদালতে হত্যা মামলা

অভয়নগরে বিদ্যুৎতে পুড়ে কনকের মৃত্যু, অবশেষে আদালতে হত্যা মামলা

মোঃ কামাল হোসেন, বিশেষ প্রতিনিধি


যশোরের অভয়নগর উপজেলার ১নং প্রেমবাগ ইউনিয়নের বালিয়াডাঙ্গা গ্রামের যুবক কনক সরদার(২০), এর বিদ্যুতের তার চুরি করতে গিয়ে কারেন্টের তারে জড়িয়ে মৃত্যু বিষয়ে অবশেষে আদালতে হত্যা মামলা হয়েছে। মামলাটি নিহতের মামা কবির হোসেন বাদি হয়ে করেছেন, যার মামলা নং সি আর ৮১৪/২২। মামলার আসামিরা হলেন, উপজেলার বালিয়াডাঙ্গা গ্রামের মৃত- খালেক সরদারের ছেলে মাসুম সরদার(৩৫), সেলিম মোল্লার ছেলে সুজন মোল্লা(২০) সহ ৪/৫ জন। মামলা সূত্রে জানা যায়, গত ২৪ নভেম্বর বৃহস্পতিবার রাত ১টা থেকে ২টার মধ্যে ২৫ নভেম্বর শুক্রবার সকাল ৭ টার মধ্যে কোন এক সময় কনক সরদার (২০), বিদ্যুতের তার জড়িয়ে মারাগেছে। তবে ভিকটিমের মামা দাবি করেছেন মাসুম সরদার ও সুজন তারা দুজন মিলে একই এলাকার মোবাইল নেটওয়ার্ক টাওয়ারের ব্যাটারী চুরি করছিল তার বিস্তর কাহিনী কনক সরদার কে ওরা বলেছিলো এবং এলাকাবাসীর নিকট কনক জানিয়ে দেওয়ায় মাসুম কে অভয়নগর উপজেলার মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান এক শালিশের মাধ্যমে মারধর করিয়া জরিমানা করে ৪০ হাজার টাকা জরিমানা ধরে তা আদায় করে তখন থেকে মাসুম ও সুজন ভিকটিমকে খুনকরার পরিকল্পনা করে। সুজন ও মাসুম সহ অজ্ঞাত বেশ কয়েক জন কনক কে খুন করার পায়তারা করতে থাকে এবং সুযোগ খুঁজতে থাকে। বাদি হত্যা মামলায় আরো উল্লেখ করেন, গত ২৪ নভেম্বর বৃহস্পতিবারে বিশ্বকাপ ফুটবল খেলা দেখার জন্য মা বাবা কে জানিয়ে বাড়ী থেকে রাত অনুঃ ১০.০০ ঘটিকার সময় চেঙ্গুটিয়া বাজারে খেলা দেখতে যায় তার ভাগনে এবং খেলা শুরু হইলে খেলা দেখা কালে রাত অনুঃ ২.৩০ ঘটিকার সময় মাসুম মোটর সাইকেলে করে খেলা দেখার স্থান থেকে বাড়ী যাওয়ার কথা বলে ভিকটিমকে উঠিয়ে নিয়ে আসে। মাসুম ভিকটিমকে বাড়ীতে নিয়ে না যাইয়া ঘটনাস্থলে নিয়ে যায়। সেখানে পূর্ব পরিকল্পনা মতে সবুজ সহ অজ্ঞাত ৪/৫ জন অপেক্ষা করিতেছিল। কবির হোসেন অনুসন্ধান করে আরো জানতে পেরে তিনি জানান ভিকটিম কনক সর্দারকে নিয়ে মাসুম ও সুজন সহ অজ্ঞাত নামা আসামীরা একত্রে মাটিতে ফেলিয়া কানে, নাকে ও গালের মধ্যে মাটি ভরিয়া দিয়া শ্বাস রোধ করিয়া মারিয়া এসিড বা আগুন দিয়া শরীরের সামনের অংশ অর্থাৎ বুক, পেট পুড়াইয়া দেয় অতঃপর ঐ স্থানে ইলেক্ট্রিক খাম্মার গোড়ায় লইয়া লাশ ফেলিয়া রাখে এবং লাশের পাশে একটি তার কাটা কার্টার ফেলিয়া রাখে। যাতে মানুষ অনুমান করে যে, ইলেক্ট্রিক তার চুরি করিতে যাইয়া শক খাইয়া মারা গিয়াছে। লাশের শরীরে মুখের ভিতর, কানের ভিতর, নাকের ভিতর ইহা ছাড়া দুই হাতে মুখের ভিতর কাদা-মাটি মাখা ছিল এবং পেটের অংশটা পুড়া ছিল। বর্তমানে এলাকায় জানাজানি হইয়া গিয়াছে সুজন ও মাসুম সহ অজ্ঞাতদের সহায়তায় ভিকটিমকে খুন করিয়াছে। বিজ্ঞ আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে অভয়নগর থানার ওসিকে আগামী ৭দিনের মধ্যে ভিকটিমের মৃত্যু কারণসহ যাবতীয় তথ্য জমা দেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।

অভয়নগরে বিদ্যুৎতে পুড়ে কনকের মৃত্যু, অবশেষে আদালতে হত্যা মামলা

আপডেটের সময় 01:23 pm, Saturday, 17 December 2022

অভয়নগরে বিদ্যুৎতে পুড়ে কনকের মৃত্যু, অবশেষে আদালতে হত্যা মামলা

মোঃ কামাল হোসেন, বিশেষ প্রতিনিধি


যশোরের অভয়নগর উপজেলার ১নং প্রেমবাগ ইউনিয়নের বালিয়াডাঙ্গা গ্রামের যুবক কনক সরদার(২০), এর বিদ্যুতের তার চুরি করতে গিয়ে কারেন্টের তারে জড়িয়ে মৃত্যু বিষয়ে অবশেষে আদালতে হত্যা মামলা হয়েছে। মামলাটি নিহতের মামা কবির হোসেন বাদি হয়ে করেছেন, যার মামলা নং সি আর ৮১৪/২২। মামলার আসামিরা হলেন, উপজেলার বালিয়াডাঙ্গা গ্রামের মৃত- খালেক সরদারের ছেলে মাসুম সরদার(৩৫), সেলিম মোল্লার ছেলে সুজন মোল্লা(২০) সহ ৪/৫ জন। মামলা সূত্রে জানা যায়, গত ২৪ নভেম্বর বৃহস্পতিবার রাত ১টা থেকে ২টার মধ্যে ২৫ নভেম্বর শুক্রবার সকাল ৭ টার মধ্যে কোন এক সময় কনক সরদার (২০), বিদ্যুতের তার জড়িয়ে মারাগেছে। তবে ভিকটিমের মামা দাবি করেছেন মাসুম সরদার ও সুজন তারা দুজন মিলে একই এলাকার মোবাইল নেটওয়ার্ক টাওয়ারের ব্যাটারী চুরি করছিল তার বিস্তর কাহিনী কনক সরদার কে ওরা বলেছিলো এবং এলাকাবাসীর নিকট কনক জানিয়ে দেওয়ায় মাসুম কে অভয়নগর উপজেলার মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান এক শালিশের মাধ্যমে মারধর করিয়া জরিমানা করে ৪০ হাজার টাকা জরিমানা ধরে তা আদায় করে তখন থেকে মাসুম ও সুজন ভিকটিমকে খুনকরার পরিকল্পনা করে। সুজন ও মাসুম সহ অজ্ঞাত বেশ কয়েক জন কনক কে খুন করার পায়তারা করতে থাকে এবং সুযোগ খুঁজতে থাকে। বাদি হত্যা মামলায় আরো উল্লেখ করেন, গত ২৪ নভেম্বর বৃহস্পতিবারে বিশ্বকাপ ফুটবল খেলা দেখার জন্য মা বাবা কে জানিয়ে বাড়ী থেকে রাত অনুঃ ১০.০০ ঘটিকার সময় চেঙ্গুটিয়া বাজারে খেলা দেখতে যায় তার ভাগনে এবং খেলা শুরু হইলে খেলা দেখা কালে রাত অনুঃ ২.৩০ ঘটিকার সময় মাসুম মোটর সাইকেলে করে খেলা দেখার স্থান থেকে বাড়ী যাওয়ার কথা বলে ভিকটিমকে উঠিয়ে নিয়ে আসে। মাসুম ভিকটিমকে বাড়ীতে নিয়ে না যাইয়া ঘটনাস্থলে নিয়ে যায়। সেখানে পূর্ব পরিকল্পনা মতে সবুজ সহ অজ্ঞাত ৪/৫ জন অপেক্ষা করিতেছিল। কবির হোসেন অনুসন্ধান করে আরো জানতে পেরে তিনি জানান ভিকটিম কনক সর্দারকে নিয়ে মাসুম ও সুজন সহ অজ্ঞাত নামা আসামীরা একত্রে মাটিতে ফেলিয়া কানে, নাকে ও গালের মধ্যে মাটি ভরিয়া দিয়া শ্বাস রোধ করিয়া মারিয়া এসিড বা আগুন দিয়া শরীরের সামনের অংশ অর্থাৎ বুক, পেট পুড়াইয়া দেয় অতঃপর ঐ স্থানে ইলেক্ট্রিক খাম্মার গোড়ায় লইয়া লাশ ফেলিয়া রাখে এবং লাশের পাশে একটি তার কাটা কার্টার ফেলিয়া রাখে। যাতে মানুষ অনুমান করে যে, ইলেক্ট্রিক তার চুরি করিতে যাইয়া শক খাইয়া মারা গিয়াছে। লাশের শরীরে মুখের ভিতর, কানের ভিতর, নাকের ভিতর ইহা ছাড়া দুই হাতে মুখের ভিতর কাদা-মাটি মাখা ছিল এবং পেটের অংশটা পুড়া ছিল। বর্তমানে এলাকায় জানাজানি হইয়া গিয়াছে সুজন ও মাসুম সহ অজ্ঞাতদের সহায়তায় ভিকটিমকে খুন করিয়াছে। বিজ্ঞ আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে অভয়নগর থানার ওসিকে আগামী ৭দিনের মধ্যে ভিকটিমের মৃত্যু কারণসহ যাবতীয় তথ্য জমা দেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।