Dhaka , Tuesday, 11 February 2025

কুয়াশার চাদরে ঢাকা পড়েছে সকালের ভাঙ্গুড়া

 

ভাঙ্গুড়া (পাবনা) প্রতিনিধি


 

দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের মতো পাবনার ভাঙ্গুড়াতেও ঘন কুয়াশার চাদরে ঢাকা পড়েছে। সেই সঙ্গে বাতাস থাকায় শীত অনুভূত হচ্ছে বেশি।

আজ বুধবার (১৩ ডিসেম্বর) সকালে ভাঙ্গুড়া উপজেলার খানমরিচ, অষ্টমনিষা, মন্ডতোষ, পৌর সদরের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে এমন চিত্রই চোখে পড়ে। এসব এলাকায় কুয়াশার আধিক্য লক্ষ্য করা গেছে।

ঘন কুয়াশার কারণে একটু দূরের বস্তুও দৃশ্যমান হচ্ছিল না। এসময় যানবাহনকে হেডলাইট জ্বালিয়ে ধীরে ধীরে চলতে দেখা গেছে।

অগ্রহায়ণের শেষের দিকে হঠাৎ বেড়েছে শীতের দাপট। কাজে বের হওয়া লোকজনকে শীত নিবারণে গরম কাপড়ের পাশাপাশি মাথায় হুডি ব্যবহার করতে দেখা যায়। আবার বাতাস থেকে রক্ষা পেতে অনেকে মুখেও মাস্ক ব্যবহার করছেন। এদিকে, কুয়াশার কারণে মাঝে মাঝে বৃষ্টির মতো ফোঁটা মুখে অনুভূত হচ্ছে।

ভাঙ্গুড়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শারমিন জাহান বলেন, এ বছর শুরু থেকেই শীতের প্রকোপ কম। তবে অগ্রহায়ণের শেষের দিকে এমন আবহাওয়া রবি শস্যের জন্য খুব একটা ক্ষতি হবে না। তবে উপজেলা কৃষি অফিস সতর্ক রয়েছেন। কৃষি কর্মকর্তারা মাঠ পরিদর্শন করছেন। ফসলকে নিরাপদ রাখতে কৃষকদের সব ধরনের পরামর্শ দিচ্ছেন তারা।

এ বিষয়ে ঈশ্বরদী আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নাজমুল ইসলাম জানান, সাইক্লোন ‘মিগজাউনের’ প্রভাবে দেশে শীত আসতে একটু দেরি হলেও গত কয়েক দিনে জেঁকে বসেছে শীতের অনুভূতি। ভাঙ্গুড়া উপজেলায় প্রতিদিনই তাপমাত্রা কমছে। আগামীকাল ১৪ ডিসেম্বর থেকে দেশের উত্তরাঞ্চলসহ বেশ কিছু এলাকার ওপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বইতে শুরু করতে পারে।

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Popular Post

কুয়াশার চাদরে ঢাকা পড়েছে সকালের ভাঙ্গুড়া

আপডেটের সময়: 12:09 pm, Wednesday, 13 December 2023

 

ভাঙ্গুড়া (পাবনা) প্রতিনিধি


 

দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের মতো পাবনার ভাঙ্গুড়াতেও ঘন কুয়াশার চাদরে ঢাকা পড়েছে। সেই সঙ্গে বাতাস থাকায় শীত অনুভূত হচ্ছে বেশি।

আজ বুধবার (১৩ ডিসেম্বর) সকালে ভাঙ্গুড়া উপজেলার খানমরিচ, অষ্টমনিষা, মন্ডতোষ, পৌর সদরের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে এমন চিত্রই চোখে পড়ে। এসব এলাকায় কুয়াশার আধিক্য লক্ষ্য করা গেছে।

ঘন কুয়াশার কারণে একটু দূরের বস্তুও দৃশ্যমান হচ্ছিল না। এসময় যানবাহনকে হেডলাইট জ্বালিয়ে ধীরে ধীরে চলতে দেখা গেছে।

অগ্রহায়ণের শেষের দিকে হঠাৎ বেড়েছে শীতের দাপট। কাজে বের হওয়া লোকজনকে শীত নিবারণে গরম কাপড়ের পাশাপাশি মাথায় হুডি ব্যবহার করতে দেখা যায়। আবার বাতাস থেকে রক্ষা পেতে অনেকে মুখেও মাস্ক ব্যবহার করছেন। এদিকে, কুয়াশার কারণে মাঝে মাঝে বৃষ্টির মতো ফোঁটা মুখে অনুভূত হচ্ছে।

ভাঙ্গুড়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শারমিন জাহান বলেন, এ বছর শুরু থেকেই শীতের প্রকোপ কম। তবে অগ্রহায়ণের শেষের দিকে এমন আবহাওয়া রবি শস্যের জন্য খুব একটা ক্ষতি হবে না। তবে উপজেলা কৃষি অফিস সতর্ক রয়েছেন। কৃষি কর্মকর্তারা মাঠ পরিদর্শন করছেন। ফসলকে নিরাপদ রাখতে কৃষকদের সব ধরনের পরামর্শ দিচ্ছেন তারা।

এ বিষয়ে ঈশ্বরদী আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নাজমুল ইসলাম জানান, সাইক্লোন ‘মিগজাউনের’ প্রভাবে দেশে শীত আসতে একটু দেরি হলেও গত কয়েক দিনে জেঁকে বসেছে শীতের অনুভূতি। ভাঙ্গুড়া উপজেলায় প্রতিদিনই তাপমাত্রা কমছে। আগামীকাল ১৪ ডিসেম্বর থেকে দেশের উত্তরাঞ্চলসহ বেশ কিছু এলাকার ওপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বইতে শুরু করতে পারে।