চলন বিলে একদিন
-ফকির খালেক
তাং ১৩/০৭/২২ বুধবার , সময় সকাল ৯ ঘটিকা । স্নেহের ছোট ভাই লেখক গবেষক মহিউদ্দিন ভূইয়াকে সাথে নিয়ে বড়াল রেলষ্টেশন থেকে অটোবাইক ( বোরাক ) যোগে ময়দানদীঘির উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়ে সকাল ১০ ঘটিকায় সেখানে পৌছি ।
যদিও তা ঘন বসতি দ্বারা আবৃত থাকায় তেমন কোন সৌন্দর্য বহন করছে না । তারপরও এখানো শীতলাই জমিদারবাড়ি ভ্রমণ পিপাসুদের হাতছানী দিয়ে ডাকে । দুপুর ১ ঘটিকার পর পরই শীতলাইকে গুড বাই জানিয়ে নৌকায় ফিরে এলাম । হান্ডিয়ালের পথে নৌকায় বসে নুরুজ্জামান সবুজের তত্ত্বাবধানে মিথিলার মায়ের দরদ মাখানো হাতের সমনাপূর্ণ খাবার চলন বিলের হাওয়ায় মিশিয়ে খাওয়া যে কি তৃপ্তি দায়ক ছিল তা যারা যায়নি তাদের জন্যে ……….
শীতলাইয়ে যেমন উজ্জীবিত হয়েছিলাম হান্ডিয়ালে অনুরুপ নিরুৎসাহিত হতে হল । অনেক ছুটাছুটি করেও উজ্জীবিত মনকে সেখানে উৎসাহীত করতে পারলাম না । জমিদারী আমলের ভগ্নাবশেষের কোন স্মৃতি চিহ্নই চোখে পড়ল না । এমন কি দু’চারখানা ভাঙ্গা ইট পাথরও না।যা জানা গেল সবই লোকাচার । এখানে এই ছিল , ওখানে ঐ ছিল , সেখানে সেই ছিল । এখন সবই হাল আমলের বাবুদের ফ্যাশানের হালরূপ । ফিরে এলাম নৌকায় । মাঝি জানান দিল পানি নেই নওগায় নৌকা যাবে না । অতএব নৌকা ফিরাও সাতবাড়িয়া অভিমুখে সূর্যাস্তের পূর্বেই ফিরে এলামা সাতবাড়িয়া ঘাটে । গাঁটি বোচকা নিয়ে ফিরে এলাম নুরুজ্জামান সবুজের চলন বিল কথার কার্যালয়ে । চা – পান শেষে দিনের কর্মসূচীর সমাপ্ত টেনে সবাইকে বিদায় জানিয়ে মহিউদ্দিনকে সাথে নিয়ে অটোতে চেপে বসলাম গন্তব্য বড়াল রেল ষ্টেশন । পরিশেষে বলতেই হয় সুনামগঞ্জ ডুবছে পানির তলায় , চলন বিলে পানি নেই নৌকা আটকে যায় শুকনায় । তার চেয়ে ও পরিতাপের বিষয় শেষ মুহুর্তে সঙ্গে না পাওয়া স্নেহ ধন্য নাছির উদ্দিন আহমাদ ও নুরুল ইসলাম বাবুলকে । এই না পাওয়ার খোঁচাছিল সর্বক্ষণ বোধ করছিলাম বুকের মাঝে । তাই কবি গুরুর বিখ্যাত সেই কয়েকটি বাক্য দিয়েই সমাপ্তি টানতে হল । ” অন্তরে অতৃপ্তি রবে সঙ্গে , সাঙ্গ করি মনে হবে , শেষ হয়েও হইল না শেষ।