জয়িতা অন্বেষণে বাংলাদেশ সফল নারী ক্যাটগরীতে পাবনা জেলা পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ জয়িতা আমেনা খাতুন ।
নিজস্ব প্রতিবেদক দৈনিক চলনবিলের কথা
“ জয়িতা অন্বেষণে বাংলাদেশ ” শীর্ষক কার্যক্রমে ভাঙ্গুড়া উপজেলার নির্বাচিত সফল / শ্রেষ্ঠ জয়িতার জীবন বৃত্তান্ত । সফল জননী নারী ও ভাঙ্গুড়া পৌরসভার আমেনা খাতুন স্বামী মৃত সেরাজুল ইসলাম , তকালীন সময়ে নারী শিক্ষার কোন ব্যবস্থা না থাকা সত্বেও স্বেচ্ছায় বাবার বাড়ীতে কোরআন সহ বাংলা লেখাপড়া করেন । অল্প বয়সেই তিনি বৈবাহিক সূত্রে আবদ্ধ হয়ে স্বামীর বাড়ীতে অবস্থান করেন । কিন্তু অল্প কিছুদিন |
১৯৭২ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধের পর তাঁর স্বামী ক্যান্সারে আক্রান্ত হন । এই সময় সংসারের আর্থিক অবস্থা আরও সঙ্গীন হয়ে পওে এবং বাধ্য হয়ে ৩ ছেলে পড়াশােনা ছেড়ে দিয়ে সংসারের হাল ধরেন । ১৯৭৭ সালে তাঁর স্বামী পরলােক গমন করার পর তিনি বড় কয়েক ছেলের সহযােগীতায় ছােট ছেলেমেয়েদের পড়াশােনা চালিয়ে যেতে সাহসী ভূমিকা পালন করেন । এবং ছােট ৬ ছেলে ও ৩ মেয়েকে সর্বোচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত করে সু – প্রতিষ্ঠিত করেন । তার ৯ ছেলে ও ৩ কন্যা সকলেই শিক্ষা || প্রতিষ্ঠান সহ অন্যান্য সরকারি প্রতিষ্ঠানে সু – প্রতিষ্ঠিত । তার বড় ছেলে ভাঙ্গুড়া ইউনিয়ন উচ্চ || বিদ্যালয়ে শিক্ষক হিসাবে চাকুরীরত থেকে অবসর গ্রহন করেছেন । অন্য ২ ছেলে সরকারি হাজী |
জামাল উদ্দিন ডিগ্রী ( অনার্স ) কলেজে শিক্ষকতা পেশায় নিয়ােজিত । ১ ছেলে বি , এস , সি ইঞ্জিনিয়ার । || ডি , জি , এম হিসাবে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিতে কর্মরত । ৩ ছেলে বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠান থেকে অবসরপ্রাপ্ত । ১ ছেলে ব্র্যাক বাংলাদেশ এ অফিসার হিসাবে ঢাকায় কর্মরত । ছােট ছেলে ডি , জি , এম || হিসাবে রুপালী ব্যাংক লিঃ বাংলাদেশ এ কর্মরত । তার ৩ মেয়ে বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি || প্রতিষ্ঠানে শিক্ষিকা হিসেবে কর্মরত এবং বেশ সুনামের সঙ্গে শিক্ষকতা করে আসছেন । দারিদ্রতা সাথে সংগ্রাম করে যেভাবে সন্তান – সন্ততিদের শিক্ষিত ও প্রতিষ্ঠিত করেছেন তা বিরল । তিনি বর্তমানে সন্তান – সন্ততি , নাতি – নাতনিদের সঙ্গে একান্নবর্তী পরিবারে বসবাস করে আসছেন । আমেনা || খাতুনকে এলাকার জনগণ একজন ভাগ্যবতি ও রত্নগর্ভা মা হিসেবে গণ্য করে এবং অত্র পরিবারের সকল সদস্যগণের সমাজে প্রতিষ্ঠার পিছনে তাঁর অবদান শতভাগ বলে সবাই মনে করে । আমরা আমেনা খাতুনের সুস্বাস্থ ও দীর্ঘায়ু কামনা করি ।