Dhaka , Saturday, 27 July 2024
www.dainikchalonbilerkotha.com

জাতীয় ভূ-স্থানিক উপাত্ত অবকাঠামো তৈরিতে বাংলাদেশ জরিপ অধিদপ্তরের সাথে একযোগে কাজ করবে জাইকা

দেশে একটি জাতীয় ভূ-স্থানিক উপাত্ত অবকাঠামো তৈরি করতে একযোগে কাজ করবে বাংলাদেশ জরিপ অধিদপ্তর ও জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (জাইকা)। ফলে, ভূ-স্থানিক উপাত্ত বিশ্লেষণ ও ব্যবহার করে দেশের উন্নয়ন পরিকল্পনা আরো কার্যকরভাবে সম্পন্ন করা সম্ভব হবে। সম্প্রতি রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে অনুষ্ঠিত এনএসডিআই ওপেন সেমিনারে বিষয়টি উন্মোচন করা হয়।

জাতীয় ভূ-স্থানিক উপাত্তের প্ল্যাটফর্ম হিসেবে সেমিনারটির আয়োজন করে বাংলাদেশ জরিপ অধিদপ্তর, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় ও জাইকা। আয়োজনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী মো. শহীদুজ্জামান সরকার। এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরি, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব এ. টি. এম. সিদ্দিকুর রহমান এবং জাইকা বাংলাদেশ অফিসের সিনিয়র রিপ্রেজেন্টেটিভ মিউরা মারি। সেমিনারটির সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ জরিপ অধিদপ্তরের সার্ভেয়ার জেনারেল ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নুর-এ-আলম মোহাম্মদ যোবায়ের সারোয়ার। এতে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও ভূ-স্থানিক উপাত্ত ব্যবহারকারী অংশ নেন।

অনেক উন্নত দেশ ভূ-স্থানিক উপাত্তকে আরও বেশি সহজলভ্য করতে এ ধরনের একীভূত প্ল্যাটফর্ম চালু করেছে। এরই ধারাবাহিকতায়, বাংলাদেশও এনএসডিআই নামক এই ভূ-স্থানিক উপাত্তের একীভূত প্ল্যাটফর্মের যুগে প্রবেশ করতে যাচ্ছে। জাইকা এর টেকনিকাল কো-অপারেশন প্রজেক্টের আওতায় ‘এস্টাবলিশমেন্ট অব ন্যাশনাল স্পাটিয়াল ডেটা ইনফ্রাস্ট্রাকচার (এনএসডিআই) ফর বাংলাদেশ’ শীর্ষক এই উদ্যোগটি বাস্তবায়ন করতে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনস্ত বাংলাদেশ জরিপ অধিদপ্তরকে সহায়তা করবে। প্ল্যাটফর্মটি চালু করতে জাইকা’র বিশেষজ্ঞরা বাংলাদেশ জরিপ অধিদপ্তরের সংশ্লিষ্ট অংশীজন ও অন্যান্য দায়িত্বশীলদের সাথে নিবিড়ভাবে কাজ করবেন।

সেমিনারে বক্তারা ডিজিটাল থেকে স্মার্ট বাংলাদেশের দিকে যাত্রায় এরকম একটি প্ল্যাটফর্ম প্রতিষ্ঠা করার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। এনএসডিআই ও নীতিমালা প্রণয়নের মধ্য দিয়ে স্মার্ট বাংলাদেশের লক্ষ্য বাস্তবায়নের দিকে আরও একধাপ এগিয়ে যাবে বাংলাদেশ। বিশেষ করে, ভৌগলিক তথ্য-উপাত্ত আরও বেশি সহজলভ্য হবে, যা পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের উন্নয়ন কাজকে আরও বেশি নিখুঁতভাবে সম্পন্ন করতে সহায়তা করবে।

একীভূত এই প্ল্যাটফর্মে সংশ্লিষ্ট সকল অংশীদারকে তথ্য শেয়ার করার আহ্বান জানিয়ে পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী মো. শহীদুজ্জামান সরকার বলেন, “ভূ-স্থানিক উপাত্তের সুবিধা সকলেই গ্রহণ করতে পারবেন, আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এই প্রকল্পের শুরুতেই এই আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন। দেশের বর্তমান অর্থনৈতিক উন্নয়নের সঙ্গে এই একীভূত এনএসডিআই প্ল্যাটফর্মটি সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত হিসেবে গৃহীত হচ্ছে। তথ্যের বাহুল্য এড়াতে পূর্ণমাত্রার এনএসডিআই চালু করার ক্ষেত্রে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় সব ধরনের সহযোগিতা করবে।” বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরি এই প্রকল্পের সফলতায় অভিনন্দন জানান। তিনি জাপানের মতোই অর্থনৈতিক উন্নয়নের ভিত্তি হিসেবে মানচিত্র উন্নয়নের ওপর গুরুত্বারোপ করেন। বাংলাদেশের উন্নয়নেও এনএসডিআই প্ল্যাটফর্ম পুরোপুরি ব্যবহার করা হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।

এই প্রকল্পটি শেষ হলে, সরকার প্রকল্প প্রণয়নের ক্ষেত্রে সম্ভাব্য ডুপ্লিকেশন এড়িয়ে নানা পরিকল্পনা তৈরি করতে সক্ষম হবে। এছাড়াও, ভৌগলিক অবস্থান-নির্দিষ্ট তথ্যের ক্ষেত্রে একটি একীভূত ও নির্ভরযোগ্য প্ল্যাটফর্ম থাকায় অন্যান্য অংশীজনরাও বিভিন্ন উপায়ে এই ভূ-স্থানিক উপাত্ত ব্যবহার করতে পারবে। এটি বাংলাদেশের উন্নতিতে কাজ করছে এমন সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর সময়ের সঠিক ব্যবহার ও প্রচেষ্টা সফল হতে সহায়তা করবে।

জাতীয় ভূ-স্থানিক উপাত্ত অবকাঠামো তৈরিতে বাংলাদেশ জরিপ অধিদপ্তরের সাথে একযোগে কাজ করবে জাইকা

আপডেটের সময় 08:17 pm, Wednesday, 5 June 2024

দেশে একটি জাতীয় ভূ-স্থানিক উপাত্ত অবকাঠামো তৈরি করতে একযোগে কাজ করবে বাংলাদেশ জরিপ অধিদপ্তর ও জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (জাইকা)। ফলে, ভূ-স্থানিক উপাত্ত বিশ্লেষণ ও ব্যবহার করে দেশের উন্নয়ন পরিকল্পনা আরো কার্যকরভাবে সম্পন্ন করা সম্ভব হবে। সম্প্রতি রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে অনুষ্ঠিত এনএসডিআই ওপেন সেমিনারে বিষয়টি উন্মোচন করা হয়।

জাতীয় ভূ-স্থানিক উপাত্তের প্ল্যাটফর্ম হিসেবে সেমিনারটির আয়োজন করে বাংলাদেশ জরিপ অধিদপ্তর, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় ও জাইকা। আয়োজনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী মো. শহীদুজ্জামান সরকার। এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরি, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব এ. টি. এম. সিদ্দিকুর রহমান এবং জাইকা বাংলাদেশ অফিসের সিনিয়র রিপ্রেজেন্টেটিভ মিউরা মারি। সেমিনারটির সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ জরিপ অধিদপ্তরের সার্ভেয়ার জেনারেল ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নুর-এ-আলম মোহাম্মদ যোবায়ের সারোয়ার। এতে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও ভূ-স্থানিক উপাত্ত ব্যবহারকারী অংশ নেন।

অনেক উন্নত দেশ ভূ-স্থানিক উপাত্তকে আরও বেশি সহজলভ্য করতে এ ধরনের একীভূত প্ল্যাটফর্ম চালু করেছে। এরই ধারাবাহিকতায়, বাংলাদেশও এনএসডিআই নামক এই ভূ-স্থানিক উপাত্তের একীভূত প্ল্যাটফর্মের যুগে প্রবেশ করতে যাচ্ছে। জাইকা এর টেকনিকাল কো-অপারেশন প্রজেক্টের আওতায় ‘এস্টাবলিশমেন্ট অব ন্যাশনাল স্পাটিয়াল ডেটা ইনফ্রাস্ট্রাকচার (এনএসডিআই) ফর বাংলাদেশ’ শীর্ষক এই উদ্যোগটি বাস্তবায়ন করতে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনস্ত বাংলাদেশ জরিপ অধিদপ্তরকে সহায়তা করবে। প্ল্যাটফর্মটি চালু করতে জাইকা’র বিশেষজ্ঞরা বাংলাদেশ জরিপ অধিদপ্তরের সংশ্লিষ্ট অংশীজন ও অন্যান্য দায়িত্বশীলদের সাথে নিবিড়ভাবে কাজ করবেন।

সেমিনারে বক্তারা ডিজিটাল থেকে স্মার্ট বাংলাদেশের দিকে যাত্রায় এরকম একটি প্ল্যাটফর্ম প্রতিষ্ঠা করার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। এনএসডিআই ও নীতিমালা প্রণয়নের মধ্য দিয়ে স্মার্ট বাংলাদেশের লক্ষ্য বাস্তবায়নের দিকে আরও একধাপ এগিয়ে যাবে বাংলাদেশ। বিশেষ করে, ভৌগলিক তথ্য-উপাত্ত আরও বেশি সহজলভ্য হবে, যা পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের উন্নয়ন কাজকে আরও বেশি নিখুঁতভাবে সম্পন্ন করতে সহায়তা করবে।

একীভূত এই প্ল্যাটফর্মে সংশ্লিষ্ট সকল অংশীদারকে তথ্য শেয়ার করার আহ্বান জানিয়ে পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী মো. শহীদুজ্জামান সরকার বলেন, “ভূ-স্থানিক উপাত্তের সুবিধা সকলেই গ্রহণ করতে পারবেন, আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এই প্রকল্পের শুরুতেই এই আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন। দেশের বর্তমান অর্থনৈতিক উন্নয়নের সঙ্গে এই একীভূত এনএসডিআই প্ল্যাটফর্মটি সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত হিসেবে গৃহীত হচ্ছে। তথ্যের বাহুল্য এড়াতে পূর্ণমাত্রার এনএসডিআই চালু করার ক্ষেত্রে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় সব ধরনের সহযোগিতা করবে।” বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরি এই প্রকল্পের সফলতায় অভিনন্দন জানান। তিনি জাপানের মতোই অর্থনৈতিক উন্নয়নের ভিত্তি হিসেবে মানচিত্র উন্নয়নের ওপর গুরুত্বারোপ করেন। বাংলাদেশের উন্নয়নেও এনএসডিআই প্ল্যাটফর্ম পুরোপুরি ব্যবহার করা হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।

এই প্রকল্পটি শেষ হলে, সরকার প্রকল্প প্রণয়নের ক্ষেত্রে সম্ভাব্য ডুপ্লিকেশন এড়িয়ে নানা পরিকল্পনা তৈরি করতে সক্ষম হবে। এছাড়াও, ভৌগলিক অবস্থান-নির্দিষ্ট তথ্যের ক্ষেত্রে একটি একীভূত ও নির্ভরযোগ্য প্ল্যাটফর্ম থাকায় অন্যান্য অংশীজনরাও বিভিন্ন উপায়ে এই ভূ-স্থানিক উপাত্ত ব্যবহার করতে পারবে। এটি বাংলাদেশের উন্নতিতে কাজ করছে এমন সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর সময়ের সঠিক ব্যবহার ও প্রচেষ্টা সফল হতে সহায়তা করবে।