Dhaka , Wednesday, 22 January 2025
শিরোনামঃ
পাবনা জেলার সব প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা উন্নত ভ্রমণ অভিজ্ঞতা নিশ্চিতে ‘সিট সিলেকশন’ ফিচার আনল শেয়ারট্রিপ মাদারীপুরের রাসূলনোমা দরবারের ওরসের তারিখ ঘোষণা বগুড়া-৪ আসনে জামানত হারালেন হিরো আলম পাবনা জেলার ৫টিতেই নৌকার প্রার্থী জয়ী পাবনার ভাঙ্গুড়ায় দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে ভোট গ্রহণ কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত। পাবনা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের বার্ষিক বনভোজন অনুষ্ঠিত চাটমোহরে বিএনপির গণসংযোগ ও লিফলেট বিতরণ এইচএসসি পরীক্ষায় সেরা অর্জনকারীদের সম্মাননা জানাল ইউসিবি ভাঙ্গুড়ায় স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুল হামিদ মাস্টারের নির্বাচনী অফিস উদ্বোধন

ট্রেন ভ্রমণ পর্ব-৬ হালিমা খাতুন সুলতানা

পর্ব:-৬

ট্রেন ভ্রমণ
হালিমা খাতুন সুলতানা


তোমাকে বললাম না আমারও একটা সময় অনেকেই ভালো লাগত । এখন রাখো ।

স্যার আপনার কি বৃষ্টিতে ভিজতে ভালো লাগে ?

বৃষ্টিতে ভিজতে সবারই ভালো লাগে। আগামী কাল কি আমার কোন ক্লাস আছে ? যদি থাকে তবে ক্লাসে বলবে কোন অংকে সমস্যা তোমার । এখন ফোন রাখো ।

আমার ও বৃষ্টিতে ভিজতে অনেক ভালো লাগে। ঠিক আছে স্যার ভালো থাকবেন । আল্লাহ্ হাফেজ

হা হা হা হা । পরের দিন সত্যি সত্যি স্যারের ক্লাস ছিল কিন্তু স্যার সবার অংক গুলি করে দিলেও আমার টা করে দেননি । আমার অংকটা আমার বান্ধবী কে দিয়ে স্যার এর সামনে উপস্থাপন করেছিলাম ।আমি একটু দূরে দাঁড়িয়ে ছিলাম । আমার বান্ধবী যখন আমার খাতা টা স্যার এর সামনে দিয়ে বলেছিল স্যার এই অংক টা বুঝি না। স্যার তখন আমার মুখের দিকে তাকিয়ে ছিলেন । এবং আমার বান্ধবী কে বলেছিল এটা অনেক বড় অংক করতে অনেক সময় এর প্রয়োজন । তাছাড়া এটা ৩৬ তম বি সি এস পরীক্ষায় এসেছিল তোমাদের পরীক্ষায় মনে হয় না আসবে । জানি না স্যার কেন আমার অংকটা করে দেননি। যে অংকটা কে স্যার বলেছিল অনেক বড় বাস্তবে সেই অংকটা মাত্র ৩ লাইনের । ঐ দিন কোচিং থেকে ফিরে আমি অনেক কান্না করেছিলাম । সারা রাত ঘুমাইনি । জানি না কোন অজানা এক কষ্ট আমার মনের মাঝে বসত গড়ে ছিল ঐ দিন । যে কষ্টের বসতি এখনও আমার হৃদয়ের ছোট্ট একটা কোণে রয়ে গেছে । মাঝে মাঝে আমি কোন কারণ ছাড়াই কান্না করি । দুই দিন তিন দিন না খেয়ে কাটিয়ে দেন । পৃথিবীর মায়া বড় মায়া , সেখানে মানব মানবীর মায়া আরও ভয়ানক । যা একবার কারও হৃদয়ে বসত শুরু করলে তাকে উঁ পোকার মত কুটকুট করে কেটে ধীরে ধীরে ছিদ্র করে নিঃশেষ করে দেবে ।যত দিন পর্যন্ত মাটির মানব মাটিতে মিশে না যাবে তত দিন পর্যন্ত এরা কুটকুট করে কেটেই যাবে । সবকিছুর শেষ আছে এটাই নিয়ম । যার শুরু আছে তার কোন না কোন সময় শেষ ও আছে । সেটা আজ অথবা আগামী কাল ।

এই যে তোমার তোয়ালে তাড়াতাড়ি ওয়াশ রুমে গিয়ে শরীর মুছে নাও । ট্রেন চলে আসার সময় হয়েছে ।

দুলাভাই এর কথায় আমার ভাবনার ইতি হলো ।দুলাভাই একটা ছোট তোয়ালে আমার দিকে এগিয়ে দিয়ে বললেন । কি হয়েছে শ্রেয়া , চোখ ভিজা কেন ?

কই না তো কি হবে ,কিছু হয়নি তো ।

মনে হচ্ছে কান্না করছ । কি হয়েছে ,কেউ কিছু বলছে ?

না ,কে কি বলবে ?

দুলাভাই এর পাশে একটা ১০_১১ বছরের ছোট ছেলে দাঁড়িয়ে আছে । তার হাতে একটা ট্রে তে তিন কাপ চা । দুলাভাই ছেলে টা কে

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Popular Post

পাবনা জেলার সব প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা

ট্রেন ভ্রমণ পর্ব-৬ হালিমা খাতুন সুলতানা

আপডেটের সময়: 09:56 pm, Monday, 23 January 2023

পর্ব:-৬

ট্রেন ভ্রমণ
হালিমা খাতুন সুলতানা


তোমাকে বললাম না আমারও একটা সময় অনেকেই ভালো লাগত । এখন রাখো ।

স্যার আপনার কি বৃষ্টিতে ভিজতে ভালো লাগে ?

বৃষ্টিতে ভিজতে সবারই ভালো লাগে। আগামী কাল কি আমার কোন ক্লাস আছে ? যদি থাকে তবে ক্লাসে বলবে কোন অংকে সমস্যা তোমার । এখন ফোন রাখো ।

আমার ও বৃষ্টিতে ভিজতে অনেক ভালো লাগে। ঠিক আছে স্যার ভালো থাকবেন । আল্লাহ্ হাফেজ

হা হা হা হা । পরের দিন সত্যি সত্যি স্যারের ক্লাস ছিল কিন্তু স্যার সবার অংক গুলি করে দিলেও আমার টা করে দেননি । আমার অংকটা আমার বান্ধবী কে দিয়ে স্যার এর সামনে উপস্থাপন করেছিলাম ।আমি একটু দূরে দাঁড়িয়ে ছিলাম । আমার বান্ধবী যখন আমার খাতা টা স্যার এর সামনে দিয়ে বলেছিল স্যার এই অংক টা বুঝি না। স্যার তখন আমার মুখের দিকে তাকিয়ে ছিলেন । এবং আমার বান্ধবী কে বলেছিল এটা অনেক বড় অংক করতে অনেক সময় এর প্রয়োজন । তাছাড়া এটা ৩৬ তম বি সি এস পরীক্ষায় এসেছিল তোমাদের পরীক্ষায় মনে হয় না আসবে । জানি না স্যার কেন আমার অংকটা করে দেননি। যে অংকটা কে স্যার বলেছিল অনেক বড় বাস্তবে সেই অংকটা মাত্র ৩ লাইনের । ঐ দিন কোচিং থেকে ফিরে আমি অনেক কান্না করেছিলাম । সারা রাত ঘুমাইনি । জানি না কোন অজানা এক কষ্ট আমার মনের মাঝে বসত গড়ে ছিল ঐ দিন । যে কষ্টের বসতি এখনও আমার হৃদয়ের ছোট্ট একটা কোণে রয়ে গেছে । মাঝে মাঝে আমি কোন কারণ ছাড়াই কান্না করি । দুই দিন তিন দিন না খেয়ে কাটিয়ে দেন । পৃথিবীর মায়া বড় মায়া , সেখানে মানব মানবীর মায়া আরও ভয়ানক । যা একবার কারও হৃদয়ে বসত শুরু করলে তাকে উঁ পোকার মত কুটকুট করে কেটে ধীরে ধীরে ছিদ্র করে নিঃশেষ করে দেবে ।যত দিন পর্যন্ত মাটির মানব মাটিতে মিশে না যাবে তত দিন পর্যন্ত এরা কুটকুট করে কেটেই যাবে । সবকিছুর শেষ আছে এটাই নিয়ম । যার শুরু আছে তার কোন না কোন সময় শেষ ও আছে । সেটা আজ অথবা আগামী কাল ।

এই যে তোমার তোয়ালে তাড়াতাড়ি ওয়াশ রুমে গিয়ে শরীর মুছে নাও । ট্রেন চলে আসার সময় হয়েছে ।

দুলাভাই এর কথায় আমার ভাবনার ইতি হলো ।দুলাভাই একটা ছোট তোয়ালে আমার দিকে এগিয়ে দিয়ে বললেন । কি হয়েছে শ্রেয়া , চোখ ভিজা কেন ?

কই না তো কি হবে ,কিছু হয়নি তো ।

মনে হচ্ছে কান্না করছ । কি হয়েছে ,কেউ কিছু বলছে ?

না ,কে কি বলবে ?

দুলাভাই এর পাশে একটা ১০_১১ বছরের ছোট ছেলে দাঁড়িয়ে আছে । তার হাতে একটা ট্রে তে তিন কাপ চা । দুলাভাই ছেলে টা কে