মাঝে মাঝে তো মনে হয় আমার দুষ্টু মনটাকে হেমায়েতপুর ভর্তি করে দেই তাহলে আর শিশির শিশির করবে না । কাউকে নিয়ে বেশি চিন্তা করতে নেই তাহলে নিজেই ক্ষতি । আমি ও কখন শিশির স্যার কে নিয়ে এতো ভাবি না । শুধু একটা দিন আমার ভাবার জালের সবটুকু জুড়ে উনি ছিলেন । ঐ দিন সকাল থেকে ই বৃষ্টি হচ্ছিল ,সারাটা দিন বৃষ্টি ছিল । পড়তে বসে মনে হল আমার একটা অংকের মাঝে সমস্যা আছে । কি করব বুঝতে পারছিলাম না । কারণ স্যার তো আমার উপর আগে থেকেই রেগে আছেন । আর স্যার এর ভাষায় আমি কথা বলতে পারি না। আমার কণ্ঠ নাকি অনেক পচা এবং কথা গুলি অগোছালো অথচ স্যার এর কণ্ঠ একটু অন্য রকম , স্বাভাবিক নয় । সাত পাঁচ ভেবে স্যার কে শেষে মোবাইলে কল দিলাম । স্যার কল রিসিভ করেই বলল আমি অটোতে ,কি বলবে তাড়াতাড়ি বললো ? একটা বিষয় আমার মাথায় আসে না স্যার যখন ক্লাস নেন তখন আপনি করে ডাকেন আবার ক্লাসের বাহিরে তুমি করে ডাকেন কি অদ্ভুত ।
হ্যালো কি বলবে বললো ।
না মানে স্যার আমি একটা অংকের নিয়ম টা ঠিক বুঝতে পারছি না আপনি কি আমাকে বুঝিয়ে বলবেন ?
আরে এখন আমি অটোতে আছি ।
স্যার আপনি কি বৃষ্টিতে ভিজে গেছেন ?
কেন কেন ?
না এমনি বললাম ।
হ্যাঁ বৃষ্টিতে ভিজে গেছি । মাথা ভিজে শার্ট ও ভিজে গেছে । যে পরিমাণে বৃষ্টি হচ্ছে না ভিজে উপায় আছে ।
স্যার আপনি কি কালো রং এর শার্ট পরে আছেন ? কালো রং এর শার্ট আপনাকে অনেক মানায় । আপনার একটা ছবি আছে না ? কালো জ্যাকেট পরা ,যে ছবি টা আপনার কাছে আমি চেয়ে ছিলাম কিন্তু আপনি তো ছবি টা আমাকে দেননি ।
কোন অংকে সমস্যা ক্লাসে বলবে করে দেবো ।এখন আমি বাসায় যাচ্ছি ।
স্যার আপনাকে ঐ দিন একটা কথা বলেছিলাম আপনি তো কিছু বলেননি ।
ওটা তোমার সমস্যা আমার না । তোমার বয়সে আমার ও এমন অনেকেই ভালো লাগতো কিন্তু কয়েক বছর পরে বুঝতে পারছি ওগুলো বয়সের দোষ । ভালো লাগা বলতে কিছু নেই ।তাছাড়া তোমার আমাকে ভালো লাগে ,আমার তোমাকে নয় । তুমি তো কথাই বলতে পারো না । দেখও বৃষ্টি হচ্ছে আমি বেশি ভিজে যাচ্ছি । তোমার কি আরও কিছু বলার আছে ?
না স্যার ,তবে একটা কথা কি জানেন । বয়সের দোষ হয় নবম দশম শ্রেণীতে পড়া ছেলে মেয়েদের ঐ বয়সটাই রঙিন । কিন্তু স্যার আমি BSS তৃতীয় বছরের ছাত্রী ,আমার বয়স ২২ প্লাস বছর । আমার কেন বয়সের দোষ হবে ?
তোমাকে বললাম না আমারও একটা সময় অনেকেই ভালো লাগত । এখন রাখো ।