Dhaka , Saturday, 27 July 2024
www.dainikchalonbilerkotha.com

পিতা কর্তৃক নিজ প্রতিবন্ধী মেয়েকে হত‍্যা রহস‍্য উদঘাটন করলো পুলিশ

 

মো: রেজাউল ইসলাম শাফি, কুলাউড়া(মৌলভীবাজার) প্রতিনিধিঃ

বিস্কুটের প্যাকেটের সূত্রধরে হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। ঘটনার দিন রাতে মেয়ে পপি সরকার (১২) মৃগী রোগে আক্রান্ত হলে পিতা নিজেই মেয়ের গলায় ওড়না পেচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর লাশ বসত ঘরের পাশে গাছ বাগানের নিচে ফেলে আসে। পর দিন সকালে হত্যার ঘটনা সাজাইয়া লাশ বাগানে পাওয়া গেছে বলে বাড়ীর মালিক ও স্থানীয় ইউপি সদস্যসহ আশপাশের লোকজনকে জানায়। কুলাউড়ার আলোচিত এই হত্যাকান্ডের ঘটনার বর্ণনা দেন ঘাতক পিতা দিগিন্দ নম সরকার। তিনি ১ অক্টোবর মৌলভীবাজার আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে নিজ মেয়েকে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে হত্যার দায় স্বীকার করেন। জানা যায়, গত ২৭ সেপ্টেম্বর মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার পৃথিমপাশা ইউনিয়নের সুলতানপুর গ্রামে বসত ঘরের দক্ষিন পাশে গাছে ঝুলানো অবস্থায় পপির লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। বিষয়টি নিয়ে ব্যাপক তদন্তে নামে পুলিশ। পিতার দায়ের করা মামলায় একই গ্রামের বাসিন্দা প্রতিবেশি সুরমান মিয়া ও কাজল মিয়াকে আসামী করা হয়। সুরমান মিয়াকে আটক করে জেল হাজতে পাটায় পুলিশ। এদিকে কুলাউড়া থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুস ছালেকের নেতৃত্বে পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আমিনুল ইসলাম এবং এসআই হারুন অর রশিদ মামলার অধিকতর তদন্ত শুরু করেন। তদন্তে পুলিশ জানতে পারে বিস্কুটের প্যাকেট নিহত পপির বাবা দিগিন্দ সরকারই ক্রয় করেন। এজাহারে মিথ্যা তথ্য দেখে সন্দেহ হলে পরবর্তীতে নিহত পপি সরকারের বাবা দিগিন্দকে আটক করে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে দিগিন্দ স্বীকার করে যে প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে নিজের মেয়েকে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে নিজেই হত্যা করেছে।

কুলাউড়া থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুস ছালেক জানান, প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে নিজের প্রতিবন্ধী মেয়েকে হত্যার দায়ে দিগিন্দ নম সরকারকে গ্রেফতার করা হয়। তিনি শনিবার বিজ্ঞ আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিলে আদালত তাকে জেল হাজতে প্রেরনের নির্দেশ প্রদান করেন।

ট্যাগ:

পিতা কর্তৃক নিজ প্রতিবন্ধী মেয়েকে হত‍্যা রহস‍্য উদঘাটন করলো পুলিশ

আপডেটের সময় 09:23 pm, Sunday, 2 October 2022

 

মো: রেজাউল ইসলাম শাফি, কুলাউড়া(মৌলভীবাজার) প্রতিনিধিঃ

বিস্কুটের প্যাকেটের সূত্রধরে হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। ঘটনার দিন রাতে মেয়ে পপি সরকার (১২) মৃগী রোগে আক্রান্ত হলে পিতা নিজেই মেয়ের গলায় ওড়না পেচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর লাশ বসত ঘরের পাশে গাছ বাগানের নিচে ফেলে আসে। পর দিন সকালে হত্যার ঘটনা সাজাইয়া লাশ বাগানে পাওয়া গেছে বলে বাড়ীর মালিক ও স্থানীয় ইউপি সদস্যসহ আশপাশের লোকজনকে জানায়। কুলাউড়ার আলোচিত এই হত্যাকান্ডের ঘটনার বর্ণনা দেন ঘাতক পিতা দিগিন্দ নম সরকার। তিনি ১ অক্টোবর মৌলভীবাজার আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে নিজ মেয়েকে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে হত্যার দায় স্বীকার করেন। জানা যায়, গত ২৭ সেপ্টেম্বর মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার পৃথিমপাশা ইউনিয়নের সুলতানপুর গ্রামে বসত ঘরের দক্ষিন পাশে গাছে ঝুলানো অবস্থায় পপির লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। বিষয়টি নিয়ে ব্যাপক তদন্তে নামে পুলিশ। পিতার দায়ের করা মামলায় একই গ্রামের বাসিন্দা প্রতিবেশি সুরমান মিয়া ও কাজল মিয়াকে আসামী করা হয়। সুরমান মিয়াকে আটক করে জেল হাজতে পাটায় পুলিশ। এদিকে কুলাউড়া থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুস ছালেকের নেতৃত্বে পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আমিনুল ইসলাম এবং এসআই হারুন অর রশিদ মামলার অধিকতর তদন্ত শুরু করেন। তদন্তে পুলিশ জানতে পারে বিস্কুটের প্যাকেট নিহত পপির বাবা দিগিন্দ সরকারই ক্রয় করেন। এজাহারে মিথ্যা তথ্য দেখে সন্দেহ হলে পরবর্তীতে নিহত পপি সরকারের বাবা দিগিন্দকে আটক করে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে দিগিন্দ স্বীকার করে যে প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে নিজের মেয়েকে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে নিজেই হত্যা করেছে।

কুলাউড়া থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুস ছালেক জানান, প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে নিজের প্রতিবন্ধী মেয়েকে হত্যার দায়ে দিগিন্দ নম সরকারকে গ্রেফতার করা হয়। তিনি শনিবার বিজ্ঞ আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিলে আদালত তাকে জেল হাজতে প্রেরনের নির্দেশ প্রদান করেন।