প্রাথমিকে প্যানেল বাস্তবায়নের দাবি ৩৭ হাজার প্যানেল প্রত্যাশীদের
সাবিনা খাতুন সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধিঃ
প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তীব্র শিক্ষক সংকট দূর করতে ২০১৮ সালে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় শূন্যপদের ভিত্তিতে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেন।
সেই নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির বিপরীতে রেকর্ড সংখ্যক চাকরী প্রার্থী আবেদন করেন।
সারাদেশের প্রায় ২৪ লক্ষাধিক চাকরী প্রার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন।
পরীক্ষায় মাত্র ৫৫ হাজার পরিক্ষার্থী লিখিত পরীক্ষায় উর্ত্তীর্ণ হন।
যা ছিল মোট পরিক্ষার্থীর মাত্র ২.৩%
উর্ত্তীর্ণ পার্থীদের মাত্র ১৮ হাজার নিয়োগ প্রদান করেন মন্ত্রণালয়ের নিয়োগ কর্তাগণ। প্রাথমিকে প্রায় ৬৫ হাজার শূন্যপদ বিদ্যমান রয়েছে।
তাই নিয়োগ বঞ্চিত এই ৩৭ হাজার প্রার্থী প্যানেলের মাধ্যমে নিয়োগের দাবি জানান।
তারা প্যানেল বাস্তবায়নের জন্য ৮ ফেব্রুয়ারী থেকে ৮ই মার্চ পর্যন্ত সারাদেশে মানব বন্ধনসহ শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করেন।
তারা তাদের দাবির যৌক্তিকতা তুলে ধরে বলেন, সেশনজট ও রিট জটিলতার কারণে তারা তাদের চাকরীর আবেদনের বয়স উপর্যুক্ত বয়স হওয়া স্বত্তেও আবেদন করা থেকে প্রায় ৭/৮ বছর বঞ্চিত ছিলেন।
২০১৪ -২০২০ সাল পর্যন্ত একটি মাত্র সার্কুলার পেয়েছে।
এবং তারা লিখিত পরীক্ষায় উর্ত্তীর্ণ হয়েছে। সুতরাং নিঃসন্দেহে তারা মেধাবী এবং চাকরী পাবার যোগ্যতা সম্পন্ন।
চাকরী প্রত্যাশীদের প্রায় ৮০% প্রার্থীদের সরকারি চাকরীর আবেদন এর বয়স শেষ বা প্রায় শেষের দিকে। তাই তারা ভবিষ্যৎ নিয়ে হতাশাগ্রস্থ এবং চিন্তাগ্রস্থ।
বেকারত্ব থেকে মুক্তি পেতে এবং শিক্ষা ক্ষেত্রে টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করণে ভূমিকা রাখতে ৩৭ হাজার প্যানেল প্রত্যাশীগণ প্যানেল বাস্তবায়নের দাবি জানান।
তাদের এই দাবির সাথে সহমত পোষণ করেছেন দেশের বিজ্ঞ সুচিন্তিত সুশীল সমাজ, বিভিন্ন শিক্ষা সংগঠন এবং মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীগণসহ বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের সংখ্যাগরিষ্ঠ সংসদ সদস্যগণ। তারা প্যানেলের পক্ষে মৌখিক ও লিখিতভাবে সমর্থন জানান।
প্যানেল বাস্তবায়ন এর লক্ষ্যে প্যানেল প্রত্যাশীরা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে হাওর অঞ্চলসহ সারাদেশের বিভিন্ন জেলায় ধানকাটা কর্মসূচি পালন করে হতদরিদ্র কৃষকের পাশে দাড়ান।
এছাড়া দেশব্যাপী বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি, ডেঙ্গু প্রতিরোধে মশা নিধন কর্মসূচি, দরিদ্র শিক্ষার্থীদের মাঝে শিক্ষা উপকরণ প্রদানসহ অনলাইন শিক্ষাদান কার্যক্রম পালন করেন।
করোনার কারণে সৃষ্ট শিক্ষা ঘাটতি পুষিয়ে নিতে এবং প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তীব্র শিক্ষক সংকট দূর করতে প্যানেলের বিকল্প নেই বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞগণ।
শিক্ষার উন্নয়ন নিশ্চিত করার জন্য শিক্ষার সংকট দূর করা জরুরী।
তাই দ্রুত প্যানেল বাস্তবায়নের জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সদয় দৃষ্টি আকর্ষণ করছেন প্যানেল বাস্তবায়ন কমিটিসহ সাধারণ প্যানেল প্রত্যাশীরা।