Dhaka , Saturday, 7 December 2024
www.dainikchalonbilerkotha.com
শিরোনামঃ
চলনবিল ফ্রেন্ডস সোসাইটির মতবিনিময় সভা ভাঙ্গুড়ায় বিপ্লব ও সংহতি দিবস পালন হ্যাকিং ও হয়রানির সঙ্গে সম্পৃক্ত ১ লাখ ৭৯ হাজার ডিভাইস শনাক্ত করেছে ইমো ভাঙ্গুড়ায় নদীর স্রোতে ভেসে গিয়ে শিশু নিখোঁজ সৎ, নির্ভীক ও নির্লোভ সাংবাদিক মনিরুজ্জামান ফারুক: সাংবাদিকতার একটি অনন্য প্রতীক চলনবিলে এসে খালি হাতে ফিরলেন ৫ শতাধিক সৌখিন মাছ শিকারী সিংড়ায় ইসলামী আন্দোলনের মোটরসাইকেল শোভাযা ভাঙ্গুড়ায় জাতীয় সমবায় দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত ভাঙ্গুড়ায় জাতীয় যুব দিবস উদযাপন আলোচনা সভা ও চেক বিতরণ ভাঙ্গুড়ায় জিপিএ-৫ ও বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের সাফল্য সংবর্ধনা অনুষ্ঠান

বিপৎসীমায় ওঠানামা করছে তিস্তার পানি

 

নিউজ ডেস্ক দৈনিক চলনবিলের কথা

পাহাড়ি ঢল ও ভারী বৃষ্টিপাতে তিস্তার পানি ব্যারাজ পয়েন্টে বিপৎসীমার ওপরে-নিচে ওঠানামা করছে। এতে রাস্তাঘাট তলিয়ে যাওয়ায় ভোগান্তিতে পড়েছেন চরের বাসিন্দারা। ব্যারাজের ৪৪টি গেট খুলে দিয়ে পানি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছে কর্তৃপক্ষ।

আজ সোমবার (৩ জুলাই) সকাল ৯টায় তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে পানিপ্রবাহ রেকর্ড করা হয়েছে ৫২ দশমিক ৮ সেন্টিমিটার। যা বিপৎসীমার ৭ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। সকাল ৬টার দিকে তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে তিস্তার পানি বিপৎসীমার ২ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয়।

ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আসফাউদ্দৌলা বলেন, সকালে বিপৎসীমার ৭ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে তিস্তার পানি আবারও কমতে শুরু করেছে।

তিস্তায় পানি বেড়ে যাওয়ায় লালমনিরহাটের পাঁচ উপজেলার নদী তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল ও চরের বসতবাড়িতে পানি প্রবেশ করছে। নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ায় কিছুটা ভোগান্তিতে পড়ছে তিস্তাপাড়ের মানুষ।

১৭ দিন আগে তিস্তার পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহের ফলের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে প্রায় তিন হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়ে। জেলা প্রশাসকের পক্ষ থেকে পানিবন্দি পরিবারগুলোর মাঝে ৩০০ মেট্রিক টন চাল ও চার লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, তিস্তার পানি বেড়ে যাওয়ায় জেলার পাটগ্রামের দহগ্রাম, হাতীবান্ধার গড্ডিমারী, দোয়ানী, সানিয়াজান ইউনিয়নের নিজ শেখ সুন্দর, সিঙ্গামারি ইউনিয়নের ধুবনী, সিন্দুর্না, পাটিকাপাড়া, ডাউয়াবাড়ি, কালীগঞ্জ উপজেলার ভোটমারী, শৈইলমারী, নোহালী, চর বৈরাতি, আদিতমারী উপজেলার মহিষখোচা, পলাশী ও সদর উপজেলার ফলিমারীর চর খুনিয়াগাছ, রাজপুর, গোকুণ্ডা ইউনিয়নের তিস্তা নদীর তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলে পানি প্রবেশ করছে।

লালমনিরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সুনীল কুমার বলেন, উজানের ঢল ও ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে তিস্তার পানি বাড়তে পারে। ফলে তিস্তার তীরবর্তী নিম্ন অঞ্চলের মানুষজনের ঘরবাড়িতে পানি প্রবেশ করতে পারে।

Popular Post

চলনবিল ফ্রেন্ডস সোসাইটির মতবিনিময় সভা

বিপৎসীমায় ওঠানামা করছে তিস্তার পানি

আপডেটের সময় 10:54 am, Monday, 3 July 2023

 

নিউজ ডেস্ক দৈনিক চলনবিলের কথা

পাহাড়ি ঢল ও ভারী বৃষ্টিপাতে তিস্তার পানি ব্যারাজ পয়েন্টে বিপৎসীমার ওপরে-নিচে ওঠানামা করছে। এতে রাস্তাঘাট তলিয়ে যাওয়ায় ভোগান্তিতে পড়েছেন চরের বাসিন্দারা। ব্যারাজের ৪৪টি গেট খুলে দিয়ে পানি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছে কর্তৃপক্ষ।

আজ সোমবার (৩ জুলাই) সকাল ৯টায় তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে পানিপ্রবাহ রেকর্ড করা হয়েছে ৫২ দশমিক ৮ সেন্টিমিটার। যা বিপৎসীমার ৭ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। সকাল ৬টার দিকে তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে তিস্তার পানি বিপৎসীমার ২ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয়।

ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আসফাউদ্দৌলা বলেন, সকালে বিপৎসীমার ৭ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে তিস্তার পানি আবারও কমতে শুরু করেছে।

তিস্তায় পানি বেড়ে যাওয়ায় লালমনিরহাটের পাঁচ উপজেলার নদী তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল ও চরের বসতবাড়িতে পানি প্রবেশ করছে। নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ায় কিছুটা ভোগান্তিতে পড়ছে তিস্তাপাড়ের মানুষ।

১৭ দিন আগে তিস্তার পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহের ফলের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে প্রায় তিন হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়ে। জেলা প্রশাসকের পক্ষ থেকে পানিবন্দি পরিবারগুলোর মাঝে ৩০০ মেট্রিক টন চাল ও চার লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, তিস্তার পানি বেড়ে যাওয়ায় জেলার পাটগ্রামের দহগ্রাম, হাতীবান্ধার গড্ডিমারী, দোয়ানী, সানিয়াজান ইউনিয়নের নিজ শেখ সুন্দর, সিঙ্গামারি ইউনিয়নের ধুবনী, সিন্দুর্না, পাটিকাপাড়া, ডাউয়াবাড়ি, কালীগঞ্জ উপজেলার ভোটমারী, শৈইলমারী, নোহালী, চর বৈরাতি, আদিতমারী উপজেলার মহিষখোচা, পলাশী ও সদর উপজেলার ফলিমারীর চর খুনিয়াগাছ, রাজপুর, গোকুণ্ডা ইউনিয়নের তিস্তা নদীর তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলে পানি প্রবেশ করছে।

লালমনিরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সুনীল কুমার বলেন, উজানের ঢল ও ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে তিস্তার পানি বাড়তে পারে। ফলে তিস্তার তীরবর্তী নিম্ন অঞ্চলের মানুষজনের ঘরবাড়িতে পানি প্রবেশ করতে পারে।