স্পোর্টস নিউজ ডেস্ক দৈনিক চলনবিলের কথা
উৎসবের রঙ কি সাদা হয়? লড়াইটা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ হলে হয় তো বটেই! ইউরোপ সেরার লড়াইয়ের বাজনা বাজতেই রিয়াল মাদ্রিদ যে ভিন্ন দল হয়ে যায়। ভাগ্য চলে আসে হাতের মুঠোয়। তাই তো প্যারিসে লিভারপুলের বিপক্ষে ১-০ গোলে জিতল রিয়াল মাদ্রিদ। প্রতিশোধ নয় অল রেডসদের হলো হারের পুনরাবৃত্তি। ২০১৮ সালের আসরে ফাইনালে রিয়ালের বিপক্ষে হেরেছিল লিভারপুল। ক্লপ-সালাহ জুটির জন্য ছিল ওই হারের শোধ নেওয়ার সুযোগ। একের পর এক আক্রমণ করে তারা সুযোগটা তৈরিও করেছিল। কিন্তু ম্যাচের ৬০ মিনিটে ভিনিসিযস জুনিয়রের গোলে এবং পুরো ম্যাচে থিবো কর্তোয়ার অতিমানবীয় ১০ সেভে শিরোপা ঘরে তুলেছে লস ব্লাঙ্কোসরা।
ম্যাচে রিয়াল মাদ্রিদ মাত্র তিনটি সুযোগ তৈরি করতে পেরেছে। তাতেই পেয়েছে জয়সূচক গোলটি।প্রথমার্ধের শেষ বাঁশির ঠিক আগে একমাত্র সুযোগ তৈরি করেন করিম বেনজেমা। জালে বল জড়ালেও অফ সাইড আইনে হতাশ হতে হয় তাকে। ওই সুযোগ তৈরি করেই ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধে রিয়াল কিছুটা নিয়ন্ত্রণ নেয়। ভিনির গোলই তার প্রমাণ।
এরপর বেনজেমা আরও একটি সুযোগ তৈরি করলেও গোলে শট নিতে পারেননি। অন্যদিকে লিভারপুল গোলে শট নিয়েছে দশটি। যার মধ্যে অন্তত তিন-চারটি জালে জড়িয়ে গেলে গোলরক্ষক থিবোর দোষ দেওয়া যেত না। কিন্তু পুরো মৌসুমে দুর্দন্ত সব সেভ দেওয়া বেলজিয়াম গোলরক্ষক আরও একবার চীনের প্রাচীর তুলে দাঁড়ান।সালাহ-মানে-অরনাল্ডদের একে একে গোলে নেওয়া নয়টি শট ফিরিয়ে দেন তিনি। তার অতি মানবীয় পারফরম্যান্সে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের রেকর্ড ১৪তম শিরোপা ঘরে তুললো কার্লো আনচেলত্তির দল। রিয়ালের হয়ে রেকর্ড তিনবার ইউরোপ সেরার শিরোপা ঘরে তোলার রেকর্ড গড়লেন। ধরে রাখলেন ফাইনালে শতভাগ সাফল্যের রেকর্ড। অন্যদিকে রেডসদের ছয় শিরোপার সংখ্যাটা সাতে নেওয়া হলো না।