Dhaka , Saturday, 7 December 2024
www.dainikchalonbilerkotha.com
শিরোনামঃ
চলনবিল ফ্রেন্ডস সোসাইটির মতবিনিময় সভা ভাঙ্গুড়ায় বিপ্লব ও সংহতি দিবস পালন হ্যাকিং ও হয়রানির সঙ্গে সম্পৃক্ত ১ লাখ ৭৯ হাজার ডিভাইস শনাক্ত করেছে ইমো ভাঙ্গুড়ায় নদীর স্রোতে ভেসে গিয়ে শিশু নিখোঁজ সৎ, নির্ভীক ও নির্লোভ সাংবাদিক মনিরুজ্জামান ফারুক: সাংবাদিকতার একটি অনন্য প্রতীক চলনবিলে এসে খালি হাতে ফিরলেন ৫ শতাধিক সৌখিন মাছ শিকারী সিংড়ায় ইসলামী আন্দোলনের মোটরসাইকেল শোভাযা ভাঙ্গুড়ায় জাতীয় সমবায় দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত ভাঙ্গুড়ায় জাতীয় যুব দিবস উদযাপন আলোচনা সভা ও চেক বিতরণ ভাঙ্গুড়ায় জিপিএ-৫ ও বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের সাফল্য সংবর্ধনা অনুষ্ঠান

ভুরুঙ্গামারীতে প্রশ্নফাঁসের মামলায় আরও দুই আসামির রিমান্ড

 

নয়ন দাস,কুড়িগ্রাম জেলা প্রতিনিধিঃ

কুড়িগ্রামে প্রশ্নপত্র ফাঁসের মামলায় গ্রেফতারকৃত দুই আসামি ভুরুঙ্গামারী পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মাওলানা জোবায়ের হোসেন এবং আমিনুর রহমান রাসেলের দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

রোববার (২ অক্টোবর) সকালে কুড়িগ্রামের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সুমন আলীর আদালতে আসামিদের জামিন ও রিমান্ডের শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। শুনানি শেষে এই আদেশ দেন তিনি।

এই মামলার প্রধান আসামি ভূরুঙ্গামারী নেহাল উদ্দিন পাইলট বালিকা উচ্চে বিদ্যালয়ের বরখাস্তকৃত প্রধান শিক্ষক ও কেন্দ্র সচিব লুৎফর রহমানকে ৩ দিনের রিমান্ড শেষে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। গত বুধবার তাকে তিন দিনের রিমান্ডে নেয়া হয়েছিল।

ভূরুঙ্গামারী থানার মামলার তদন্ত কর্মকর্তা (ওসি তদন্ত) আজাহার আলী বলেন, দুই আসামির তিনদিনের রিমান্ড আবেদন করা হলেও শুনানি শেষে ২ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন বিজ্ঞ আদালত। মুল আসামি লুৎফর রহমান তিন দিনের রিমান্ডে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছেন। সেগুলো যাচাই বাছাই করে দেখা হচ্ছে।

রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনাকারী সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট দিলরুবা আহমেদ শিখা বলেন, আসামিরা প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনা ঘটিয়ে দেশ ও জাতির ক্ষতি সাধন করেছেন। তাদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করার লক্ষ্যে চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।

প্রশ্নপত্র ফাঁসের মামলায় এ পর্যন্ত ৫ জন শিক্ষক এবং একজন অফিস সহায়ককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতারকৃতরা হলেন, প্রশ্নপত্র ফাঁসের মূল হোতা প্রধান শিক্ষক ও কেন্দ্র সচিব লুৎফর রহমান, ইংরেজি বিষয়ের শিক্ষক আমিনুর রহমান রাসেল, ইসলাম শিক্ষা শিক্ষক মাওলানা জোবায়ের হোসেন, কৃষি বিজ্ঞানের শিক্ষক হামিদুর রহমান, বাংলা বিষয়ের শিক্ষক সোহেল আল মামুন এবং অফিস সহায়ক সুজন মিয়া। এজাহার নামীয় আসামি অফিস সহকারী আবু হানিফ পলাতক রয়েছেন।

বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়,পলাতক আসামি ঘটনার পরপরই ভারত পালিয়ে গেছেন। এদের সবাইকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করেছে বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটি।গত ২০ সেপ্টেম্বর প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনায় ৪ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত নামা ১০/১৫ জনের নামে ভূরুঙ্গামারী থানায় একটি মামলা করেন নেহাল উদ্দিন পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় পরীক্ষা কেন্দ্রের ট্যাগ কর্মকর্তা ও উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা আদম মালিক চৌধূরী।

ট্যাগ:
Popular Post

চলনবিল ফ্রেন্ডস সোসাইটির মতবিনিময় সভা

ভুরুঙ্গামারীতে প্রশ্নফাঁসের মামলায় আরও দুই আসামির রিমান্ড

আপডেটের সময় 02:31 pm, Sunday, 2 October 2022

 

নয়ন দাস,কুড়িগ্রাম জেলা প্রতিনিধিঃ

কুড়িগ্রামে প্রশ্নপত্র ফাঁসের মামলায় গ্রেফতারকৃত দুই আসামি ভুরুঙ্গামারী পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মাওলানা জোবায়ের হোসেন এবং আমিনুর রহমান রাসেলের দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

রোববার (২ অক্টোবর) সকালে কুড়িগ্রামের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সুমন আলীর আদালতে আসামিদের জামিন ও রিমান্ডের শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। শুনানি শেষে এই আদেশ দেন তিনি।

এই মামলার প্রধান আসামি ভূরুঙ্গামারী নেহাল উদ্দিন পাইলট বালিকা উচ্চে বিদ্যালয়ের বরখাস্তকৃত প্রধান শিক্ষক ও কেন্দ্র সচিব লুৎফর রহমানকে ৩ দিনের রিমান্ড শেষে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। গত বুধবার তাকে তিন দিনের রিমান্ডে নেয়া হয়েছিল।

ভূরুঙ্গামারী থানার মামলার তদন্ত কর্মকর্তা (ওসি তদন্ত) আজাহার আলী বলেন, দুই আসামির তিনদিনের রিমান্ড আবেদন করা হলেও শুনানি শেষে ২ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন বিজ্ঞ আদালত। মুল আসামি লুৎফর রহমান তিন দিনের রিমান্ডে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছেন। সেগুলো যাচাই বাছাই করে দেখা হচ্ছে।

রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনাকারী সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট দিলরুবা আহমেদ শিখা বলেন, আসামিরা প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনা ঘটিয়ে দেশ ও জাতির ক্ষতি সাধন করেছেন। তাদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করার লক্ষ্যে চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।

প্রশ্নপত্র ফাঁসের মামলায় এ পর্যন্ত ৫ জন শিক্ষক এবং একজন অফিস সহায়ককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতারকৃতরা হলেন, প্রশ্নপত্র ফাঁসের মূল হোতা প্রধান শিক্ষক ও কেন্দ্র সচিব লুৎফর রহমান, ইংরেজি বিষয়ের শিক্ষক আমিনুর রহমান রাসেল, ইসলাম শিক্ষা শিক্ষক মাওলানা জোবায়ের হোসেন, কৃষি বিজ্ঞানের শিক্ষক হামিদুর রহমান, বাংলা বিষয়ের শিক্ষক সোহেল আল মামুন এবং অফিস সহায়ক সুজন মিয়া। এজাহার নামীয় আসামি অফিস সহকারী আবু হানিফ পলাতক রয়েছেন।

বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়,পলাতক আসামি ঘটনার পরপরই ভারত পালিয়ে গেছেন। এদের সবাইকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করেছে বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটি।গত ২০ সেপ্টেম্বর প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনায় ৪ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত নামা ১০/১৫ জনের নামে ভূরুঙ্গামারী থানায় একটি মামলা করেন নেহাল উদ্দিন পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় পরীক্ষা কেন্দ্রের ট্যাগ কর্মকর্তা ও উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা আদম মালিক চৌধূরী।