নিহতের পরিবার সূত্র জানায়,দরিদ্র পরিবারের সন্তান মিলন দেশে বেশ কয়েকটি কোম্পানিতে চাকরি করেছেন।কিন্তু কোন কাজেই তিনি সুবিধা করতে পরছিলেন না। তাই স্ত্রী-সন্তানের ভবিষ্যতের কথা ভেবে সিদ্ধান্ত নেন বিদেশে যাওয়ার। গত ৯ মাস আগে ভাগ্য বদলের আশায় মালয়েশিয়ায় পাড়ি জমান মিলন। কিন্তু সেখানে গিয়েও কথা মতো কাজ না পেয়ে হতাশ হন তিনি।পরে সেখান থেকে অন্যত্র পালিয়ে গিয়ে একটি প্রতিষ্ঠানে নির্মাণ শ্রমিকের কাজ নেন।ঘটনার দিন বৃহস্পতিবার(২ নভেম্বর) সড়ক নির্মাণ প্রকল্পে ১১ ফুট মাটির নিচে পাইলিংয়ের কাজ করছিলেন কয়েকজন শ্রমিক।হঠাৎ মাটি চাপা পড়ে মিলনসহ তিন প্রবাসী বাংলাদেশি মারা যান।
নিহত মিলনের স্ত্রী সনজুয়ারা খাতুন বলেন,’তাঁর স্বামী মিলন ধারদেনা করে ৫ লাখ টাকা খরচ করে মালয়েশিয়ায় যান। এখন পর্যন্ত বাড়িতে সে একটি টাকাও পাঠাতে পারেনি।তাই ধারণাদেনাও শোধ করা যায়নি।এর মধ্যে আমাদের ছেড়ে ও চলে গেলো।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ নাহিদ হাসান খান বলেন, বিষয়টি তিনি জেনেছেন। আজ শনিবার (৪ নভেম্বর)ওই বাড়িতে গিয়ে পরিবারটির সঙ্গে কথা বলব। মিলনের লাশ দেশে আনতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’