Dhaka , Thursday, 25 April 2024
www.dainikchalonbilerkotha.com

আমার মৃত্যুর পরও পরবর্তী প্রজন্মের মানুষেরা আমার গানগুলো শুনবে এটাই আমার চাওয়া ’

আর এস আই সাগর


‘আমার মৃত্যুর পরও পরবর্তী প্রজন্মের মানুষেরা আমার গানগুলো শুনবে এটাই আমার চাওয়া ’

আর এস আই সাগর, সম্পাদক ও প্রকাশক দৈনিক চলনের কথা

‘আমার মৃত্যুর পরও গানগুলো মানুষ শুনবে’

মোঃ আমিনুল ইসলাম মিন্টু, সিরাজগঞ্জ জেলার উল্লাপাড়া উপজেলার বগুড়া গ্রামের ।তরুণ গীতিকার, কবি ও সাহিত্যিক । তার অনেক গান শ্রোতাপ্রিয় হয়েছে। দেশের প্রথম শ্রেণির প্রায় অনেক সংগীতশিল্পীদের নিয়ে তিনি কাজ করেছেন। প্রবীণদের পাশাপাশি কাজ করেছেন নবীনদের সঙ্গেও। ইউটিউবে চ্যানেলে প্রকাশের পাশাপাশি বিভিন্ন সোশাল মাধ্যমে তার রয়েছে অসামান্য অবদান। তার শুরুটা হয়েছিল ২০২১ সালের ২৫ অক্টোবর গীতিকারের জম্মদিনে ‘বিধি তোমার খেলা’ শিরোনামে, শিল্পী “জাকিয়া সুলতানা মিতুর কন্ঠে”সংগীত পরিচালক আল আমিনের মাধ্যমে। “সব লাশের হয় না মাটি”
ফেসবুকে এক কোটি ভিউ এবং ইউটিউবে ৩ লক্ষ ভিউ এ এছাড়াও পাখি সিরিজের ৯ গানটি ৪০ লাখ ভিউ হয়েছে। “পিড়িতি ভীষণ জ্বালা রে” শিরোনামের গানটি টিকটকে এক লাখ প্রলাপ ভিডিও হয়েছে। এছাড়াও প্রায় সবগানগুলো দারুণভাবে জনপ্রিয়।

দৈনিক চলনবিলের কথা প্রতিবেদক তার সাক্ষাৎকার নেন। আলাপচারিতায় তিনি গান ও কবিতার বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলেন। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন আর এস আই সাগর।

আর এস আই সাগর : গান চুরির ঘটনা ইদানিং আমাদের দেশে অহরহ ঘটছে। বিষয়টা আপনি কীভাবে দেখছেন?

আমিনুল ইসলাম মিন্টু : আমাদের দেশে ভালো ভালো গান তৈরি হচ্ছে। গান তৈরি হওয়ার পর কপিরাইটের একটা বিষয় থাকে। সকল গানের কপিরাইট করা উচিৎ। শিল্পী, সুরকার, গীতিকার একসঙ্গে এগিয়ে আসে না। এ তিনজন কখনো একত্র হয় না। একটা গান কপিরাইট করতে শিল্পী, সুরকার ও গীতিকারকে একত্র হতে হবে। সমন্বয় করতে হবে। এই সমন্বয়টা হচ্ছে না বলেই গান চুরির ঘটনা অহরহ ঘটছে। এটা বড় অন্যায়।

আর এস আই সাগর: আপনার রচনা গানে সব চেয়ে প্রবীণ শিল্পী কে? কি শিরোনামে গান? সুর ও সংগীত পরিচলাক কে?

আমিনুল ইসলাম মিন্টু: সব চেয়ে প্রবীণ শিল্পী “আশরাফ উদাস ”
একলা পরে রই শিরোনামে
সুর ও সংগীতে আল আমিন খান।

আর এস আই সাগর : আপনার লেখা জনপ্রিয় গানসহ অন্যান্য গানগুলো কি কপিরাইট করা হয়েছে?

আমিনুল ইসলাম মিন্টু :আমার এতগুলো গানের মধ্যে একটাও কপিরাইট করা নেই। আমার গান নিয়ে যুদ্ধ করার মতো অস্ত্র আমার কাছে নেই। কপিরাইটের পেপার যতক্ষণ পর্যন্ত আমার কাছে না আসবে ততক্ষণ পর্যন্ত যে কোনো মানুষই আমার গান নিয়ে যেতে পারবেন। কেন কপিরাইট করতে পারিনি এই দোষ শুধু আমার একার নয়। এই দোষ শিল্পী, সুরকার ও গীতিকারেরও। আমার গানের গীতিকার তো আমিই। আমি এগিয়ে এলেও সুরকার ও শিল্পীরা এগিয়ে আসেনি। আমাদের সমন্বয়ের এতো অভাব যে, কপিরাইট করতে পারছি না।

আর এস আই সাগর : ভাই আপনার অধিকাংশ গানের কথাই তো দুঃখের কারণ কি?

আমিনুল ইসলাম মিন্টু : দুঃখ যাদের জীবনগড়া তাদের আবার দুঃখ কিসের একটা প্রবাদ আছে না? নিজের জীবনের সাথেও গানের কথার অনেক মিল আছে ভাই। গান, কবিতা তো জীবনেরই অনুধাবন।

আর এস আই সাগর : ইউটিউব চ্যানেল কোম্পানি যে আপনাদের গান ব্যবহার করছেন। সেখান থেকে আপনাদের কী কোনো সম্মানী দেয়া হচ্ছে?

আমিনুল ইসলাম মিন্টু : প্রথম দিকে আমার পকেট থেকে আরো বের হইছে একটি পয়সাও পাই না।পরে অবশ্যই কিছু ইউটিউব চ্যানেল থেকে পাচ্ছি।

আর এস আই সাগর : আপনার নিজের কোন “ইউটিউব চ্যানেল” আছে? থাকলে নাম কি? সেখান থেকে কি কোন কোন উপার্জন পাচ্ছেন?

আমিনুল ইসলাম মিন্টু : হ্যা আছে, “এইচ এম মাল্টিমিডিয়া ” অল্প কিছু আসে।

আর এস আই সাগর : কোন কোন শিল্পীরা আপনার গান গেয়েছেন?

আমিনুল ইসলাম মিন্টু : ভারত থেকে নচিকেতা, আশরাফ উদাস, মনির খান,ইমন খান, আলামিন খানসহ অর্ধশত শিল্পী এতো জনের নাম বলতে পারব না।

আর এস আই সাগর : বর্তমান সময়ের গানগুলো বাজারে আসার কিছুদিন পরই হারিয়ে যাচ্ছে কেন?

আমিনুল ইসলাম মিন্টু : বর্তমানে একজন তরুণ-তরুণী একটা গান করে লাভবান হবে, সেটা একেবারেই হচ্ছে না। পয়সা খরচ করে কিছুই পায় না তারা প্রচার চালিয়ে তারা শুধুমাত্র নিজেদের পরিচিতি পায়। এরপর বিভিন্ন অনুষ্ঠানে গান গেয়ে টাকা পায়। অনুষ্ঠান করে অল্প যে টাকা পায় তা দিয়ে জীবনযাপন করে। আর এটাই এখন তাদের জীবনের লক্ষ্য। আগে কোনো গান একটু জনপ্রিয় হলেই ঘরে ঘরে শোনা হতো। একটা গান থেকে অনেক টাকা পেতো। এখন শিল্পীদের স্বপ্ন জীবন চালানো। মানুষ দেখে তাদেরকে চিনবে এবং অনুষ্ঠানে ডাকবে এই আশায়।

আর এস আই সাগর : বর্তমান সময়ে আপনার ব্যস্ততা সর্ম্পকে জানতে চাই।

আমিনুল ইসলাম মিন্টু : যে কাজগুলো করছি তা এখন নিজের youtube চ্যালেনে প্রকাশ করছি । তবে কাজ করে যাচ্ছি এতটুকুই। বিভিন্ন চ্যানেল এর কাজ ফিরিয়ে দিচ্ছি। আসলে লেখালেখির করার খুব একটা সময়ও পাচ্ছি না।

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

আমার মৃত্যুর পরও পরবর্তী প্রজন্মের মানুষেরা আমার গানগুলো শুনবে এটাই আমার চাওয়া ’

আপডেটের সময় 03:33 am, Friday, 6 January 2023

আর এস আই সাগর


‘আমার মৃত্যুর পরও পরবর্তী প্রজন্মের মানুষেরা আমার গানগুলো শুনবে এটাই আমার চাওয়া ’

আর এস আই সাগর, সম্পাদক ও প্রকাশক দৈনিক চলনের কথা

‘আমার মৃত্যুর পরও গানগুলো মানুষ শুনবে’

মোঃ আমিনুল ইসলাম মিন্টু, সিরাজগঞ্জ জেলার উল্লাপাড়া উপজেলার বগুড়া গ্রামের ।তরুণ গীতিকার, কবি ও সাহিত্যিক । তার অনেক গান শ্রোতাপ্রিয় হয়েছে। দেশের প্রথম শ্রেণির প্রায় অনেক সংগীতশিল্পীদের নিয়ে তিনি কাজ করেছেন। প্রবীণদের পাশাপাশি কাজ করেছেন নবীনদের সঙ্গেও। ইউটিউবে চ্যানেলে প্রকাশের পাশাপাশি বিভিন্ন সোশাল মাধ্যমে তার রয়েছে অসামান্য অবদান। তার শুরুটা হয়েছিল ২০২১ সালের ২৫ অক্টোবর গীতিকারের জম্মদিনে ‘বিধি তোমার খেলা’ শিরোনামে, শিল্পী “জাকিয়া সুলতানা মিতুর কন্ঠে”সংগীত পরিচালক আল আমিনের মাধ্যমে। “সব লাশের হয় না মাটি”
ফেসবুকে এক কোটি ভিউ এবং ইউটিউবে ৩ লক্ষ ভিউ এ এছাড়াও পাখি সিরিজের ৯ গানটি ৪০ লাখ ভিউ হয়েছে। “পিড়িতি ভীষণ জ্বালা রে” শিরোনামের গানটি টিকটকে এক লাখ প্রলাপ ভিডিও হয়েছে। এছাড়াও প্রায় সবগানগুলো দারুণভাবে জনপ্রিয়।

দৈনিক চলনবিলের কথা প্রতিবেদক তার সাক্ষাৎকার নেন। আলাপচারিতায় তিনি গান ও কবিতার বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলেন। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন আর এস আই সাগর।

আর এস আই সাগর : গান চুরির ঘটনা ইদানিং আমাদের দেশে অহরহ ঘটছে। বিষয়টা আপনি কীভাবে দেখছেন?

আমিনুল ইসলাম মিন্টু : আমাদের দেশে ভালো ভালো গান তৈরি হচ্ছে। গান তৈরি হওয়ার পর কপিরাইটের একটা বিষয় থাকে। সকল গানের কপিরাইট করা উচিৎ। শিল্পী, সুরকার, গীতিকার একসঙ্গে এগিয়ে আসে না। এ তিনজন কখনো একত্র হয় না। একটা গান কপিরাইট করতে শিল্পী, সুরকার ও গীতিকারকে একত্র হতে হবে। সমন্বয় করতে হবে। এই সমন্বয়টা হচ্ছে না বলেই গান চুরির ঘটনা অহরহ ঘটছে। এটা বড় অন্যায়।

আর এস আই সাগর: আপনার রচনা গানে সব চেয়ে প্রবীণ শিল্পী কে? কি শিরোনামে গান? সুর ও সংগীত পরিচলাক কে?

আমিনুল ইসলাম মিন্টু: সব চেয়ে প্রবীণ শিল্পী “আশরাফ উদাস ”
একলা পরে রই শিরোনামে
সুর ও সংগীতে আল আমিন খান।

আর এস আই সাগর : আপনার লেখা জনপ্রিয় গানসহ অন্যান্য গানগুলো কি কপিরাইট করা হয়েছে?

আমিনুল ইসলাম মিন্টু :আমার এতগুলো গানের মধ্যে একটাও কপিরাইট করা নেই। আমার গান নিয়ে যুদ্ধ করার মতো অস্ত্র আমার কাছে নেই। কপিরাইটের পেপার যতক্ষণ পর্যন্ত আমার কাছে না আসবে ততক্ষণ পর্যন্ত যে কোনো মানুষই আমার গান নিয়ে যেতে পারবেন। কেন কপিরাইট করতে পারিনি এই দোষ শুধু আমার একার নয়। এই দোষ শিল্পী, সুরকার ও গীতিকারেরও। আমার গানের গীতিকার তো আমিই। আমি এগিয়ে এলেও সুরকার ও শিল্পীরা এগিয়ে আসেনি। আমাদের সমন্বয়ের এতো অভাব যে, কপিরাইট করতে পারছি না।

আর এস আই সাগর : ভাই আপনার অধিকাংশ গানের কথাই তো দুঃখের কারণ কি?

আমিনুল ইসলাম মিন্টু : দুঃখ যাদের জীবনগড়া তাদের আবার দুঃখ কিসের একটা প্রবাদ আছে না? নিজের জীবনের সাথেও গানের কথার অনেক মিল আছে ভাই। গান, কবিতা তো জীবনেরই অনুধাবন।

আর এস আই সাগর : ইউটিউব চ্যানেল কোম্পানি যে আপনাদের গান ব্যবহার করছেন। সেখান থেকে আপনাদের কী কোনো সম্মানী দেয়া হচ্ছে?

আমিনুল ইসলাম মিন্টু : প্রথম দিকে আমার পকেট থেকে আরো বের হইছে একটি পয়সাও পাই না।পরে অবশ্যই কিছু ইউটিউব চ্যানেল থেকে পাচ্ছি।

আর এস আই সাগর : আপনার নিজের কোন “ইউটিউব চ্যানেল” আছে? থাকলে নাম কি? সেখান থেকে কি কোন কোন উপার্জন পাচ্ছেন?

আমিনুল ইসলাম মিন্টু : হ্যা আছে, “এইচ এম মাল্টিমিডিয়া ” অল্প কিছু আসে।

আর এস আই সাগর : কোন কোন শিল্পীরা আপনার গান গেয়েছেন?

আমিনুল ইসলাম মিন্টু : ভারত থেকে নচিকেতা, আশরাফ উদাস, মনির খান,ইমন খান, আলামিন খানসহ অর্ধশত শিল্পী এতো জনের নাম বলতে পারব না।

আর এস আই সাগর : বর্তমান সময়ের গানগুলো বাজারে আসার কিছুদিন পরই হারিয়ে যাচ্ছে কেন?

আমিনুল ইসলাম মিন্টু : বর্তমানে একজন তরুণ-তরুণী একটা গান করে লাভবান হবে, সেটা একেবারেই হচ্ছে না। পয়সা খরচ করে কিছুই পায় না তারা প্রচার চালিয়ে তারা শুধুমাত্র নিজেদের পরিচিতি পায়। এরপর বিভিন্ন অনুষ্ঠানে গান গেয়ে টাকা পায়। অনুষ্ঠান করে অল্প যে টাকা পায় তা দিয়ে জীবনযাপন করে। আর এটাই এখন তাদের জীবনের লক্ষ্য। আগে কোনো গান একটু জনপ্রিয় হলেই ঘরে ঘরে শোনা হতো। একটা গান থেকে অনেক টাকা পেতো। এখন শিল্পীদের স্বপ্ন জীবন চালানো। মানুষ দেখে তাদেরকে চিনবে এবং অনুষ্ঠানে ডাকবে এই আশায়।

আর এস আই সাগর : বর্তমান সময়ে আপনার ব্যস্ততা সর্ম্পকে জানতে চাই।

আমিনুল ইসলাম মিন্টু : যে কাজগুলো করছি তা এখন নিজের youtube চ্যালেনে প্রকাশ করছি । তবে কাজ করে যাচ্ছি এতটুকুই। বিভিন্ন চ্যানেল এর কাজ ফিরিয়ে দিচ্ছি। আসলে লেখালেখির করার খুব একটা সময়ও পাচ্ছি না।