Dhaka , Thursday, 18 April 2024
www.dainikchalonbilerkotha.com

পাবনায় রক্ত দেওয়ার ১২ ঘণ্টা পর যুবকের মৃত্যু

 

নিউজ ডেস্ক দৈনিক চলনবিলের কথা

পাবনার সাঁথিয়া উপজেলায় অসুস্থ বাবাকে রক্ত দেওয়ার ১২ ঘণ্টা পর মজনু শেখ (৪২) নামে এক ব্যক্তি মারা গেছেন।

রোববার (২৬ মার্চ) দিনগত রাত আনুমানিক ২টার দিকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (রামেক) চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।

মজনু শেখ পাবনার সাঁথিয়া উপজেলার আতাইকুলা ইউনিয়নের বামনডাঙ্গা গ্রামের নজু শেখের ছেলে। তিনি পেশায় একজন গাড়িচালক ছিলেন।

সোমবার (২৭ মার্চ) সকালে আতাইকুলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মিরাজুল ইসলাম বিশ্বাস মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

মজনু শেখের মামা মনছুর আলী ঝন্টু জানান, মজনু ঢাকায় গাড়িচালক হিসেবে কাজ করতেন। তার বাবার অসুস্থতার কথা শুনে কয়েকদিন আগে গ্রামের বাড়িতে আসেন।

গুরুতর অসুস্থ বাবার চিকিৎসায় রক্তের প্রয়োজন হলে গত রোববার দুপুরে তিনি তার বাবাকে নিজেই রক্ত দেন। রক্ত দিয়ে হাসপাতাল থেকে বাড়িতে চলে যায় মজনু। বিশ্রাম না নিয়েই জমিতে যান পেঁয়াজ তুলতে। সেখানে তিনি অসুস্থ বোধ করলে স্বজনরা তাকে রোববার বিকেলে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন। শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে চিকিৎসকরা তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন।

রোববার রাতেই রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (রামেক) ভর্তি করা হয় মজনু শেখকে। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত আনুমানিক ২টার দিকে তিনি মারা যান।

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

পাবনায় রক্ত দেওয়ার ১২ ঘণ্টা পর যুবকের মৃত্যু

আপডেটের সময় 06:13 pm, Monday, 27 March 2023

 

নিউজ ডেস্ক দৈনিক চলনবিলের কথা

পাবনার সাঁথিয়া উপজেলায় অসুস্থ বাবাকে রক্ত দেওয়ার ১২ ঘণ্টা পর মজনু শেখ (৪২) নামে এক ব্যক্তি মারা গেছেন।

রোববার (২৬ মার্চ) দিনগত রাত আনুমানিক ২টার দিকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (রামেক) চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।

মজনু শেখ পাবনার সাঁথিয়া উপজেলার আতাইকুলা ইউনিয়নের বামনডাঙ্গা গ্রামের নজু শেখের ছেলে। তিনি পেশায় একজন গাড়িচালক ছিলেন।

সোমবার (২৭ মার্চ) সকালে আতাইকুলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মিরাজুল ইসলাম বিশ্বাস মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

মজনু শেখের মামা মনছুর আলী ঝন্টু জানান, মজনু ঢাকায় গাড়িচালক হিসেবে কাজ করতেন। তার বাবার অসুস্থতার কথা শুনে কয়েকদিন আগে গ্রামের বাড়িতে আসেন।

গুরুতর অসুস্থ বাবার চিকিৎসায় রক্তের প্রয়োজন হলে গত রোববার দুপুরে তিনি তার বাবাকে নিজেই রক্ত দেন। রক্ত দিয়ে হাসপাতাল থেকে বাড়িতে চলে যায় মজনু। বিশ্রাম না নিয়েই জমিতে যান পেঁয়াজ তুলতে। সেখানে তিনি অসুস্থ বোধ করলে স্বজনরা তাকে রোববার বিকেলে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন। শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে চিকিৎসকরা তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন।

রোববার রাতেই রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (রামেক) ভর্তি করা হয় মজনু শেখকে। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত আনুমানিক ২টার দিকে তিনি মারা যান।