রাজাকারদের তালিকায় কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধার নাম আসার দায়ভার নিয়ে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, আমি মৌমাছির চাকে ঢিল মেরেছি।
তিনি বলেন, ‘স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে পেনড্রাইভ করে যে তালিকা আমাদের নিকট দিয়েছে তা পরিবর্তন না করে আমরা হুবহু সেটি প্রকাশ করেছি। এতে কিছু ভুল ধরা পরেছে। সেটা আমার নিজ উদ্যোগে সংশোধন করে প্রকাশ করব’।
বুধবার দুপুরে মানিকগঞ্জে বিজয় মেলায় মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক আরও বলেন, বলেন, এই রাজাকারদের তালিকা বিএনপি ২০০৪ সালেও করে গিয়েছিল। বিএনপি যত হুংকার দিক, রাজাকারদের তালিকা তৈরি হবেই। সামনে ৬৪ জেলা ও সকল উপজেলা পর্যায়ে রাজাকারদের তালিকা করা হবে।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর শততম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাদের ১৪ হাজার বাড়ি নির্মাণ করে দেওয়া হবে। আর স্বাধীনতার ৫০ তম বর্ষ উপলক্ষে আরও ১৫ হাজার বাড়ি নির্মাণ করে দেওয়া হবে। এছাড়া, আগামী বছর থেকে হেলথ কার্ড দেওয়া হবে, এতে গরিব অসহায় মানুষ বিনা মূল্যে চিকিৎসা সেবা পাবে।
জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার ইঞ্জিনিয়ার তোবারক হোসেন লুডুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী দেওয়ান হানযালা, মানিকগঞ্জ স্থানীয় সরকার শাখার উপপরিচালক ফৌজিয়া খান, পুলিশ সুপার রিফাত রহমান শামীম, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এড. গোলাম মহীউদ্দিন, সহসভাপতি এড. আব্দুল মজিদ ফটো, পৌর মেয়র গাজী কামরুল হূদা সেলিম প্রমুখ।
সমাবেশে জেলার ৭টি উপজেলা থেকে ৩ শতাধিক মুক্তিযোদ্ধারা অংশ গ্রহণ করে।
All rights reserved Dainik chalonbiler kotha দৈনিক চলনবিলের কথা © ২০২২||
এই ওয়েবসাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।