এইচ. মোরশেদ (রতন):
সিরাজগঞ্জ জেলার চৌহালী উপজেলাধীন খাষকাউলিয়া ইউনিয়নের অন্তর্গত দক্ষিণ খাষকাউলিয়া গ্রামের আব্দুল মান্নানের ছেলে ওয়েজকুরুনী। ২০১৬ সালে ইউএসএআইডি ও বাংলাদেশ সরকারের অর্থায়নে কেয়ার বাংলাদেশের কারিগরি সহযোগিতায় এনডিপি- সৌহার্দ্য ৩ কর্মসূচি’র গরিব সদস্য খানা নং- ০০৭৪ হিসেবে তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয় তাদের পরিবার। ওয়েজকুরুনীর বাবা কৃষি অনিয়মিত দিনমজুর । সংসারের অভাব অনটনের মধ্যে প্রাইমারি স্কুলের গন্ডি পার হতে পারেনি ওয়েজকুরুনী। বাবার পাশাপাশি সেও বিভিন্ন বাড়িতে কৃষি অকৃষি দিনমজুর হিসেবে সংসারের চাহিদা মেটাতে কাজ করতে থাকে। সৌহার্দ্য ৩ কর্মসূচি’র মাধ্যমে বেকার যুবকদের কর্মসংস্থানের জন্য পাড়ায় পাড়ায় অভিভাবক ও যুবদের যাচাই বাছাই করার জন্য এফটি-গভর্নেন্স এন্ড ইয়ুথ মোঃ হেলাল উদ্দিন আলোচনা সভা করেন। এমনি একটি সভায় অভিভাবক নিয়ে হাজির হয় ওয়েজকুরুনী । সে প্রাথমিকভাবে ট্রেড বেছে নেয় কাঠমিস্ত্রি। পরবর্তিতে সে স্থানীয়ভাবে ৩০ দিনব্যাপী কাঠমিস্ত্রি ট্রেডে কারিগরি প্রশিক্ষণ শতভাগ সফলতার সাথে সুসম্পন্ন করে।
ঢাকায় অনুষ্ঠিত চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে ইয়ুথ কনভারসেশন কর্মসুচিতে তার তৈরি হাতের কাজের জিনিসগুলো প্রদর্শন করা হয় এবং প্রশংসিত হয়। সেই উৎসাহ পেয়ে ঢাকায় আরো ৬ মাস ফার্নিচার এর বিভিন্ন কাজ ভালভাবে শিখে। এলাকায় ফিরে এসে নিজে ফার্নিচার তৈরির দোকান দিয়ে নিজের কর্মসংস্থান তৈরি করেছে। প্রতিমাসে এখন সে গড়ে ১২০০০-১৫০০০ টাকা আয় করে বলে ফলোআপে জানা যায়। সে তার ফার্নিচারের দোকানে কর্মচারী রেখে ব্যবসার প্রসার করবে বলে আশা করছে। সেদিনের সেই বেকার ওয়েজকুরুনী এখন কর্মজীবি হয়ে অস্বচ্ছল বাবা মায়ের সংসারের হাল ধরেছে।
All rights reserved Dainik chalonbiler kotha দৈনিক চলনবিলের কথা © 2020 ||
এই ওয়েবসাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।