সাইফুদ্দিন, বিশেষ প্রতিনিধিঃ
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) ৪ জন শিক্ষার্থীকে জোর পূর্বক তুলে নিয়ে গিয়েছিল বরিশালের স্থানীয় সন্ত্রাসী বাহিনী।
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা হলেন, মৃত্তিকা ও পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী শুয়াইব ইসলাম স্মরণ, হিসাববিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী রাকিব মাহমুদ, ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী আনিকা সরকার সিথী এবং উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী সৈয়দা সানজিদা ফেরদৌস জেবা।
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা জানান,বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ে ধর্ষণ বিরোধী প্রদীপ মিছিল করার সময় এক মোটরসাইকেল আরোহী মিছিলের মধ্যে মোটরসাইকেল ঢুকিয়ে দেয়। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের শিক্ষার্থী হাসিবুর রহমান হাসিব আহত হয় এবং তার হাতের একটি আঙ্গুল ভেঙে যায়। এরপর মোটরসাইকেল আরোহী ও তার সাথে থাকা একজনকে ক্যাম্পাসের দায়িত্বরত পুলিশ আটক করে। প্রদীপ মিছিল শেষ হওয়ার পর শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসের সামনে এলে ক্যাম্পাস থানার দায়িত্বরত পুলিশ দুইপক্ষকে নিয়ে আলোচনা করে তাদেরকে ছেড়ে দেয়।এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডির কিছু সদস্য উপস্থিত ছিলেন।
এরপর ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসের সামনে থেকে অটো না পেয়ে হাটতে হাটতে দপদপিয়া ব্রিজের উপর গেলে আনুমানিক রাত সাড়ে ৮ ঘটিকায় মোটরবাইকার ও তার সাঙ্গোপাঙ্গোরা তাদের আটক করে জোরপূর্বক রুপাতলি নিয়ে আটকে রাখে।এ সময় সন্ত্রাসীবাহিনীরা নারী দুই শিক্ষার্থীকে আজেবাজে ভাষায় গালিগালাজ করে এবং ছেলে শিক্ষার্থীদের শারীরিক ভাবে নির্যাতন করে।
এরপর এক নারী শিক্ষার্থী সন্ত্রাসীদের থেকে লুকিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ফেসবুক গ্রুপে তাদের আটকে রাখার বিষয়ে পোস্ট দেয় এবং রুপাতলিতে অবস্থানরত এক শিক্ষার্থীকে ফোন করে জানালে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা এসে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীদের উদ্ধার করে।এসময় সন্ত্রাসীরা তাদের প্রাণনাশের হুমকি দেয়। এ সময় দলে দলে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা রুপাতলি আসতে থাকে এবং সন্ত্রাসীদের আটক করে।এ সময় কয়েকজন সন্ত্রাসী তাদের মোটরসাইকেল ফেলে পালিয়ে যায়। পরে আটককৃত সন্ত্রাসীদের পুলিশে সোপর্দ করা হয়।
এসময় শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন যে, এই ঘটনার ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. সুব্রত কুমার দাস কে ফোন করা হলে তিনি দায় এড়িয়ে যান এবং শিক্ষার্থীদের বাদী হয়ে মামলা করতে বলেন।তিনি সাফ জানিয়ে দেন যে, তিনি এই ব্যাপারে কোনো সাহায্য করতে পারবেন না।
অভিযোগের ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. সুব্রত কুমার দাস জানান, ”
এসব অভিযোগ ভিত্তিহীন। এমন কোন কথা আমি বলিনি। আমরা সবথেকে বেশি গুরুত্ব দিয়েছি শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার বিষয়ে। তারা যেখানেই সমস্যার সম্মুখীন হবে, আমরা তাদেরকে সাহায্য করব।
এ বিষয়ে এসআই মুনিম বলেন, ঘটনা স্থলেই আসামীদের ছেড়ে দেয়া হয়। কারণ তাদের বিরুদ্ধে কেউ মামলা করেনি। ভুক্তভোগীরা বলেছিলো প্রক্টর স্যার বাদী হয়ে মামলা করবে কিন্তু কেউ এখনো মামলা করেনি।
All rights reserved Dainik chalonbiler kotha দৈনিক চলনবিলের কথা © 2020 ||
এই ওয়েবসাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।