মোঃ রাজিবুল করিম রোমিও, নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
সারা দেশের মতো পাবনা জেলার ভাংগুড়া উপজেলায় গত দুই সপ্তাহের ঘন ও অতিবৃষ্টি এবং জলাবদ্ধতার কারণে উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজার গুলোতে বেশিরভাগ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে। সবচেয়ে বেড়েছে সব্জির দাম।
উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজার ঘুরে দেখা যায়, সব্জির বাজারে কাঁচামালের সরবরাহ কমে গেছে। ঘন এবং অতি বৃষ্টির ফলে সব্জি চাষিদের সব্জির চারা পচে যাওয়ায় সব্জির সরবরাহ কম থাকার অজুহাতে কাঁচামরিচ, পেঁয়াজ, আদা, রসুন, আলু সহ সকল সব্জির দাম বাড়ানো হয়েছে।
একই সঙ্গে মাছের দরও বেশ চড়া। এতে নিম্ন ও মধ্যম আয়ের মানুষেরা পড়েছেন বিপাকে। অনেকে বাড়তি দামের কারণে কাঙ্ক্ষিত পণ্য কিনছেন না।
উপজেলার খানমরিচ ইউনিয়নের সব্জি চাষীরা জানান, এ বছর অতিরক্ত বর্ষার কারণে আমরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পড়েছি।
সরোজমিন ঘুরে দেখা যায়, আগাম জাতের সিম, বেগুন, মুলা, কপি, চারা, বিভিন্ন ধরনের শাকসবজি, এগুলো অতিরিক্ত বর্ষার কারণে পানিতে ডুবে গোড়ালি পচে যাওয়ার উপক্রম হয়ে পড়েছে। কিছু কিছু জায়গায় বন্যায় প্লাবিত হয়ে সবজি ক্ষেত নষ্ট হয়েছে।এরফলে বাজারে সব্জির আমদানি খুব কম, ফলে বাড়তি দামে কাঁচাবাজার করতে হচ্ছে ক্রেতাদের।
খানমরিচ ইউনিয়নের ময়দানদিঘী বাজারের সবজি বিক্রেতা আসাদুল্লাহ জানান, বিগত মাসে বন্যার পর থেকেই শাক-সবজির দাম বাড়তি। প্রায় এক মাস ধরে দাম এভাবে ঘুরাফেরা করছে। কোন কোন দিন কেজিতে ১০ টাকা এদিক সেদিক হচ্ছে। কৃষকরা যদি এই সবজি চাষ না করতে পারে তাহলে আমরা পাবো কিভাবে? যতটুকুই সবজি আসছে সেটাও বেশি দামে কিনতে হচ্ছে। আর এই জন্যই আমাদেরকে ও বাড়তি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে।
All rights reserved Dainik chalonbiler kotha দৈনিক চলনবিলের কথা © 2020 ||
এই ওয়েবসাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।