মোঃ কামাল হোসেন যশোর জেলা প্রতিনিধি
যশোরের মণিরামপুরে গৃহবধূর সঙ্গে এক ব্যক্তির (স্বামী নন) স্বেচ্ছায় শারীরিক মিলনের ভিডিও ধারণের অভিযোগে থানায় মামলা হয়েছে। সোমবার (১২ অক্টোবর) দিবাগত রাত পৌনে একটার দিকে ওই গৃহবধূ ছয়জনকে আসামি করে পর্নোগ্রাফি আইনে মামলাটি করেন। পরে পুলিশ অভিযুক্ত ছয়জনকে হেফাজতে নিয়ে ঘটনা তদন্তে নামে। রাতে পর্নোগ্রাফি আইনে মামলা গ্রহণের পর পুলিশ তাদের গ্রেফতার দেখায়।
এর আগে এদিন দুপুরে থানায় এসে ওই গৃহবধূ গণধর্ষণের অভিযোগ করেন। তিনি তিন সন্তানের জননী। তার স্বামী ইজিবাইক চালক।
গ্রেফতার ছয়জন হলো-মণিরামপুর পৌর এলাকার বেগমপুরের মৃত আব্দুর রউফ মোড়লের ছেলে মোস্তফা কামাল মোস্ত (৩৫), মোসলেম মোড়লের ছেলে ফয়সাল হোসেন (২২) ও মৃত হেমায়েত শেখের ছেলে আব্দুল আলী শেখ (৩০), কামালপুর গ্রামের তোরাব গাজীর ছেলে আসাদুল গাজী (২৬) ও শহিদুল মোল্যার ছেলে সাকিব হোসেন (২২) এবং দুর্গাপুর গ্রামের নাজমা খাতুন (৪০)।
গৃহবধূর স্বামী ও মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, আসামি সাকিব মণিরামপুর বাজারের তরকারি বিক্রেতা। গত শুক্রবার (৯ অক্টোবর) সকাল সাড়ে দশটার দিকে গৃহবধূ বাজার করতে গেলে পূর্বসম্পর্কের জেরে সাকিব তাকে ডেকে তাহেরপুর এলাকায় নাজমা নামে এক নারীর ভাড়া বাসায় নিয়ে যায়। সেখানে সাকিবের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কে মিলিত হন তিনি। কিন্তু নাজমার যোগসাজশে ঘটনাটি কৌশলে মোবাইলে ভিডিও করেন মোস্ত, ফয়সাল, আসাদুল ও আলী। পরে সেই ভিডিও পুঁজি করে রোববার দিনভর গৃহবধূকে ব্লাকমেইল করেন আসামিরা। একপর্যায়ে তারা ভিডিওটি গৃহবধূর এক দেবরের মোবাইলে সরবরাহ করেন। এরপর ওই গৃহবধূ ও তার স্বামী ভিডিওর বিষয়টি জানতে পারেন।
রাতেই স্থানীয়ভাবে বিষয়টি মীমাংসার চেষ্টা চলে। তা না হওয়ায় সোমবার দুপুরে গৃহবধূ থানায় হাজির হয়ে ‘গণধর্ষণের শিকার হয়েছেন’ বলে পুলিশের কাছে অভিযোগ দেন। পুলিশ দ্রুত তৎপর হয়ে অভিযুক্ত সবাইকে হেফাজতে নেয়। দিনভর ঘটনার রহস্য উদ্ঘাটনে কাজ করে পুলিশ। পরে সোমবার দিবাগত রাতে থানায় পর্নোগ্রাফি আইনে মামলা হয়।
মণিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম জানান, ওই ঘটনায় থানায় পর্নোগ্রাফি আইনে মামলা করেছেন গৃহবধূ। সব আসামিকে গ্রেফতার করে আদালতে হাজির করা হয়েছে।
All rights reserved Dainik chalonbiler kotha দৈনিক চলনবিলের কথা © 2020 ||
এই ওয়েবসাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।