ডিপ্লোমায় চলমান সংকট দ্রুত সমাধানের কঠিন হুশিয়ারি দিলেন “কারিগরি ছাত্র অধিকার পরিষদ”
বিশেষ প্রতিবেদনঃ
বিশ্বে চলমান কোভিড-১৯ এর কারনে গত ১৭ মার্চ থেকে দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেয় সরকার। কোভিড পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে ধাপে ধাপে বাড়ানো হচ্ছে বন্ধের দিন। এরইমধ্যে ৮ মাস শেষ হয়ে যাওয়াই ২০২০ শিক্ষা বর্ষের সময়ের শেষ প্রান্তে। ইতিমধ্যে PSC/ JSC / HSC পরিক্ষা না নিয়ে অটোপ্রমোশনের ঘোষণা দেয়া হয়েছে। তাদের ক্ষেত্রে সিধান্ত দেয়া হলেও ডিপ্লোমায় অধ্যয়ন রত ছাত্র দেয়া হয়নি কোন নিদিষ্ট সিদ্ধান্ত।
দেশে ৪৯ টি সরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট, ৪৬ টি টেকনিক্যাল স্কুল ও ২০০ এর বেশি বেসরকারি পলিটেকনিকে ১৬ লক্ষের অ বেশি ছাত্র রয়েছে। ডিপ্লোমা ২০-২১ শিক্ষাবর্ষে বছরে ২ টি সেমিস্টার ফাইনাল হওয়ার কথা থাকলেও অনুষ্টিত হয়নি একটি পরিক্ষাও। ২য়,৪থ,৬ষ্ঠ,৮ম সেমিস্টারের মেয়াদ শেষ অাগষ্টেই অন্যটি ১ম,৩শ,৫ম,৭ম ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। তাও পরিক্ষা হবে কি না অনিশ্চিতায় প্রায় ১৬ লক্ষ শিক্ষার্থী। এর মধ্যে ২ লক্ষ রয়েছে, যারা ৮ম পর্বের ছাত্ররা পরিক্ষা শেষ করেই অনেকে কর্ম জীবনে প্রবেশ করবে। তারা না পারছে পড়াশোনা করতে না পারছে কর্মে প্রবেশ করতে।
এই সংকট নিরসনের জন্য ডিপ্লোমার ছাত্ররা ধাপে ধাপে দেশের বিভিন্ন স্থানে আন্দোলন করলেও গত ২৯ অক্টোবর এর ঘোষনার পর তা থেমে যায়। দিপু মনি বলেন – কারিগরি ছাত্ররা এই পরিক্ষারপর সরাসরি কর্ম জীবন প্রবেশ করবে তাই তাদেরকে পরিক্ষা দিতেই হয়ে। এরইমধ্যে ১২ দিন শেষ হওয়ার পর ও কবে নাগাত পরিক্ষা নেয়া হবে তার কোন নোটিশ না আসায় ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা। “কারিগরি ছাত্র অধিকার পরিষদের নেতারা বলেন, দেশে শিক্ষা ব্যাবস্থা দুই রকমের এর মধে একটিকে বেশি পাধান্য দেয়া হচ্ছে এবং অন্যটিকে মুখে মুখে এগিয়ে নেয়ার কথা বললেও কর্মে কিছুই দেখা যাচ্ছে না। কেন এতো অবহেলা করা হচ্ছে ডিপ্লোমা ছাত্রদের উপর তারাও তো দেশের সম্পদ। একদিন তারাও দেশের হাল হাতে তুলে নিবে। দ্রুত সিদ্ধান্ত না দেয়া হলে কঠোন আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষনা করা হবে। একই সাথে তারা দেশে গণমাধ্যমে গুলোকে সাথে থাকে সহযোগিতা করার আহবান করেন।
All rights reserved Dainik chalonbiler kotha দৈনিক চলনবিলের কথা © 2020 ||
এই ওয়েবসাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।