নিউজ ডেস্ক দৈনিক চলনবিলের কথা
প্রাথমিক শিক্ষার গুণগত মান ও উৎকর্ষ সাধনে প্রকৃতির দৃষ্টিনন্দিত ফুলদ বৃক্ষের গুরুত্ব অপরিহার্য। পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলার খানমরিচ ইউনিয়নের পরমানন্দপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নান্দনিক মুগ্ধতা ছড়াচ্ছে রক্তরাঙা কৃষ্ণচূড়া। বিদ্যালয়ের প্রধান ফটক দিয়ে ঢুকতেই খেলার মাঠের পাশে একটি কৃষ্ণচূড়া গাছ। বসন্তের শেষে গ্রীষ্মের শুরুতে আকাশকে আবির রঙা করে ফোটে কৃষ্ণচূড়া, আর বাতাসে ভাসে তার পাপড়ি। সদর উপজেলার অদূরে পরমান্দপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের আগুন রঙা সেই কৃষ্ণচূড়ার সৌন্দর্য আলো ছড়াচ্ছে। গাছে নয়ানভিরাম রাঙা ফুলের মায়া। গাছের নিচে অজস্র ঝড়াপাপড়ি যেন বিছিয়ে রাখে লাল গালিচা। কবির কবিতার মতো মনলোভা শিক্ষাঙ্গন।
বিদ্যালয় চত্বরে গাঢ় লালের বিস্তার যেন বাংলাদেশের সবুজ প্রান্তরে রক্তিম সূর্যের প্রতীক আর বাংলাদেশের জাতীয় পতাকারই প্রতিনিধিত্ব করছে। অনিন্দ্য সুন্দর উপজেলার মধ্যে এ চত্বর যেন এক টুকরো বাংলাদেশেরই প্রতিচ্ছবি। কৃষ্ণচূড়ার ফুল গন্ধহীন, নমনীয় কোমল, মাঝে লম্বা পরাগ। ফুটন্ত কৃষ্ণচূড়া ফুলের মনোরম দৃশ্য দেখে যে কেউ অপলক দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকবেই!
পরমানন্দপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নুরুজ্জামান সবুজ মাষ্টার দৈনিক চলনবিলের কথা পত্রিকার সাথে একান্ত আলাপচারিতায় বলেন, দৃষ্টিনন্দিত ফুলদ বৃক্ষের সমাহারের সাংগ্রহিক কার্যক্রমের অংশ এই কৃষ্ণচূড়ার আদি নিবাস পূর্ব আফ্রিকার মাদাগাস্কারে। ভিনদেশী এই ফুল আমাদের দেশে নতুন নামে পরিচিত হয়ে উঠেছে। বছরের অন্য সময়ে এ ফুলের দেখা পাওয়া না গেলেও বাংলাদেশে এপ্রিল-জুন মাসে দৃষ্টিনন্দন এ ফুলটির দেখা মেলে। সাধারণত বসন্তকালে এই ফুলটি ফুটলেও তা জুন-জুলাই পর্যন্ত স্থায়ী হয়।
All rights reserved Dainik chalonbiler kotha দৈনিক চলনবিলের কথা © ২০২২||
এই ওয়েবসাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।