- বাংলাদেশ সময় :
মঙ্গলবার, ২৪ মে, ২০২২
/
-
৯৩
দেখছেন
/
-
‘বিধ্বংসী যমুনা নদী’
এইচ মোরশেদ (রতন)
“যমুনার বুকে জন্ম নিয়ে
হেঁসে খেলে বেড়াই,
সময়ে অসময়ে ভাঙ্গন চাপলে
হতাশ হই আর ডরাই ।
পুর্ব পুরুষের ভিটা মাটি
গিলে খেয়েছে এই রাক্ষুসী নদী,
তবুও আশায় বসে আছি
নিজ জমাজমি ভালো হয় যদি !
কত লোকের আবাস ভূমি
ছিল এই ভূখণ্ডের উপর,
নিজ এলাকা ত্যাগ করে তারা
বসবাস করছে যাযাবর ।
বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে
থাকার কথা ছিল অনেক অধিকার,
শেষ রক্ষাও হচ্ছে না যেন
তাই জানাতে হচ্ছে ধিক্কার !
মৌসুমে মৌসুমে আসে দানবীর
মিথ্যা আশ্বাসের ঝুলি নিয়ে,
ক্ষতিগ্রস্ত জনপদের জনগণকে আশার আলো দেখাবে কি দিয়ে!?
সঠিক পরিকল্পনার বড় অভাব
বুঝা যাচ্ছে বেশ,
জীবন নিয়ে পালাতে তাইতো
ছাড়তে হচ্ছে দেশ ।
যমুনায় ফসলি জমি, বসত ভিটা
ভাঙ্গতে ভাঙ্গতে হয় বিলীন,
কোনরকম সরতে পারা মানুষটির
চেহাড়া যে আজ হয়েছে মলিন ।
বৃদ্ধ আর প্রতিবন্ধী পিতা মাতা
শিশু বাচ্চা কোলে,
চোখের সামনে সব বিলীন হয়েছে
রাক্ষুসী যমুনা নদীর জলে ।
এমনিভাবে কত লোক যে
সর্বশান্ত হচ্ছে প্রতিদিন,
স্বনির্ভর দেশে বসবাস করে
ঘাড়ে চেপেছে অনেক ঋণ।
ভিনদেশী রোহিঙ্গাদের জন্য
রাষ্ট্রের মন কাঁদে ,
দেশের মানুষকে বানিয়ে যাযাবর
মিথ্যা আশ্বাসের ফাঁদে ।
বেরিবাঁধ আর নদী শাসন করতে
জনগণের টাকা যাবে,
কষ্টের মাঝেও সঠিক পরিকল্পনায়
জনগণের সুবিধা হবে।
নদী শাসন আর বেরিবাঁধ হলে
প্রমত্তা যমুনা নদী হবে সম্পদ,
আসুন না সবাই মিলে সুর তুলি
‘ত্রাণ চাই না’ ‘চাই নদী শাসন
আর পরিকল্পনা মাফিক বেরিবাঁধ’।”