কিছু অসৎলোকের জন্য দেশ এগিয়ে যেতে পারছে না' - www.dainikchalonbilerkotha.com
  1. Chalonbilerkotha@gmail.com : Ckotha247 :
কিছু অসৎলোকের জন্য দেশ এগিয়ে যেতে পারছে না' - www.dainikchalonbilerkotha.com
মঙ্গলবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০১:৪৩ অপরাহ্ন

কিছু অসৎলোকের জন্য দেশ এগিয়ে যেতে পারছে না’

নিউজ ডেস্ক
  • আপডেটের সময়: শুক্রবার, ৩০ ডিসেম্বর, ২০২২
  • ১০৭ সময় দেখুন,
শেয়ার করুন

রাইসুল ইসলামঃ-(গণ বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি)


আজ বৃহস্পতিবার রোজ ২৯ডিসেম্বর গন বিশ্ববিদ্যালয় (গবি)-এর সভাকক্ষে আয়োজিত হলো বিজয় দিবস-২০২২ শীর্ষক আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান

মুক্তিযুদ্ধ যখন শুরু হয় তখন আমি ১৫বছরের বালক।তখন আমি ছরিলাম ট্রেনিং সেন্টার থেকে যুদ্ধের জন্য প্রশিক্ষণ গেরিলা বাহিনীতে যোগদান করি। যুদ্ধ চলাকালীন সময় আমার সামনেই ৮০জন সহযোদ্ধা শহীদ হয় যদিও আমি ভাগ্যক্রমে বেচেঁ যাই। তবুও ভেঙে পড়িনি লক্ষ একটাই ছিলো দেশকে স্বাধীন করতে হবে।যদিও মরে যাই তবে পাচঁজনকে মেরে তারপর মরবো।বলে মন্তব্য করেছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য বীর মুক্তিযোদ্ধা ড. মোঃ আমির হোসেন।

তিনি আরো বলেন, স্বাধীনতার পরবর্তী সময় দেশ উন্নয়নের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে । কিন্তু বর্তমানে কিছু বাধার কারণে এগিয়ে যেতে পারছেনা। এক্ষেত্রে প্রধান কাজ নিজেদেরকে নিজ জায়গা থেকে উন্নতি করতে হবে। অন্যায় অবিচার থেকে বিরত থাকতে হবে। তবেই পূর্ণ স্বাধীনতা লাভ করবে এবং দেশ উন্নয়ন হবে।

অনুষ্ঠানের শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন, রেজিস্ট্রার কৃষিবিদ এস তাসাদ্দেক আহমেদ। তিনি বলেন, স্বাধীন দেশ হওয়ার কারনে আমরা আজ পদ্মা সেতু মেট্রোরেল দেখতে পাচ্ছি। দেশ স্বাধীন না হলে দেশের উন্নতি সম্ভব হতো না। তিনি আরো বলেন, এক সময় পাকিস্তানের শোষণের কারনে আমরা পিছিয়ে ছিলাম, আজ আমাদের মুদ্রার মান পাকিস্তানের চেয়ে অনেক কম। এই সব কিছুর জন্য আমি শ্রদ্ধার সাথে স্বরন করছি সকল বীর মুক্তিযোদ্ধাদের এবং জাতীর জনক বঙ্গবন্ধু মুজিবুর রহমানের প্রতি তিনি নির্যাতন, কারাভোগ করেও এদেশের মানুষের মুক্তির জন্য কাজ করে গেছেন।

উক্ত অনুষ্ঠানের বক্তব্যকারীদের মধ্যে ড.ফুয়াদ হোসেন বলেন,১৯৯৮ সালে গণ বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা হয়। গণ বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার লক্ষ্য ছিল মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধারণ করে।দেশের মানুষের জন্য শিক্ষা ব্যবস্থা গড়ে তোলা এবং সেই লক্ষ্যকে ধারণ করে গণ বিশ্ববিদ্যালয় এগিয়ে চলছে।

গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ডাক্তার মনজুর কাদির আহমেদ বলেন, মুক্তিযুদ্ধকে নিয়ে অনেক গবেষণা এবং অনেক বই লেখা হয়েছে তবুও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস সম্পূর্ণভাবে আজও উঠে আসেনি এবং তিনি শিক্ষার্থীদের দিকনির্দেশনা দিয়ে আরো বলেন, দেশের অনেক বই আছে যেগুলো মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে লেখা। সেই বইগুলো বেশি করে পড়বে তাহলেই মুক্তিযুদ্ধের চেতনা জেগে উঠবে।

অনুষ্ঠানের সমাপনী বক্তব্য প্রদান করেন উপাচার্য . আবুল হোসেন তিনি বলেন দেশ স্বাধীন করার জন্য সকল শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা কৃতজ্ঞতা যারা মুক্তিযুদ্ধের পরবর্তী সময়কার সময় হতে দেশকে উন্নত করতে দেশের মানুষের জন্য নিঃস্বার্থ ভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। তিনি তার বক্তব্যে স্পষ্ট করে উল্লেখ করেন মুক্তিযুদ্ধের সময়কার যোদ্ধা যিনি স্বাধীনতা পূর্ব সৈনিকদের চিকিৎসা প্রদান করেন এবং গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা.জাফরুল্লাহ স্যারের প্রতি।

উক্ত অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন সকল অনুষদের ডিন, বিভাগীয় প্রধানগণ, সকল বিভাগের শিক্ষকবৃন্দ ও শিক্ষার্থীরা। অনুষ্ঠানের শেষ অংশে জমকালো আয়োজনের মাধ্যমে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষনা করা হয়।

সোশ্যাল মিডিয়া শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও খবর..
  • © All rights reserved ©দৈনিক চলনবিলের কথা dainikchalonbilerkotha
Theme Customized BY BD IT HOST