অভয়নগরে ইন্সটিটিউশন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগ - www.dainikchalonbilerkotha.com
  1. Chalonbilerkotha@gmail.com : Ckotha247 :
অভয়নগরে ইন্সটিটিউশন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগ - www.dainikchalonbilerkotha.com
বুধবার, ১৮ জুন ২০২৫, ১২:২১ অপরাহ্ন

অভয়নগরে ইন্সটিটিউশন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগ

নিউজ ডেস্ক
  • আপডেটের সময়: মঙ্গলবার, ২৭ ডিসেম্বর, ২০২২
  • ৭৬ সময় দেখুন,
শেয়ার করুন

মোঃ কামাল হোসেন, বিশেষ প্রতিনিধি


অভয়নগরে সিদ্ধিপাশা ইন্সটিটিউশন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার সিদ্ধিপাশা ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ডে অবস্থিত সিদ্ধিপাশা ইন্সটিটিউশন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অফিস সহায়ক, পরিছন্নতা কর্মি, নিরাপত্তা কর্মি, আয়া পদে নিয়োগের বাণিজ্য করা হয়েছে বলে ম্যানেজিং কমিটির সদস্য ও অভিভাবক সদস্যরা বিভিন্ন দপ্তরে গত অক্টোবরের শেষে দিকে লিখিত অভিযোগ করেছেন। জানা গেছে, অত্র বিদ্যালয়ে ৪টি পদে প্রধান শিক্ষক হাবিবুর রহমান গোপনে প্রায় ২৮ লাখ টাকার বিনিময়ে এ নিয়োগ দিয়েছেন। যে কারণে অভিভাবক সদস্য ও এলাকাবাসীরা ফুসে উঠেছেন। অভিভাবক সদস্য দেব্রত ভদ্র, পিয়ারি, জাকির ফারাজী, আবের আলী শেখ বাদী হয়ে মহাপরিচালক মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর ঢাকা, পরিচালক ব্যানবেইস ঢাকা, পরিচালক দুদক কার্যালয় খুলনা, উপপরিচালক দুদক কার্যালয় যশোর, অভয়নগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরে ওই নিয়োগ বন্ধ করে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন। লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, প্রধান শিক্ষক হাবিবুর রহমান ওই বিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা কমিটিকে না জানিয়ে অফিস সহায়ক, পরিছন্নতাকর্মি, নিরাপত্তা কর্মিও আয়া পদের জন্য গোপনে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। পরবর্তীতে ব্যবস্থাপনা কমিটিকে কোন সভা, বা কোন প্রকার মৌখিক ভাবে কিছু না জানিয়ে অবৈধভাবে নিয়োগ কমিটি গঠন ও নিয়োগ পরিক্ষা গ্রহণ সহ নিয়োগ ও যোগদান পত্র দিয়ে যোগদান করানো হয়। এতে মোটা অংকের বিনিময়ে আইন বর্হিভুত ভাবে নিজের ইচ্ছেমত সভাপতির আপন বোন ও আত্মীয়দের এ নিয়োগ দেয়া হয়েছে। বলা হয়েছে, রেজুলেশনে ব্যবস্থাপনা কমিটির কোন স্বাক্ষর নেই। প্রধান শিক্ষক জাল স্বাক্ষর করে এই কাজ পরিচালিত করেছেন। তিনি স্বার্থসিদ্ধি ও বিদ্যালয়ের আর্থআত্মসাৎ ও ভুয়া ভাউচারসহ নিয়োগ বানিজ্যের উদ্দেশ্যে এ কার্য সাধন করেন। যেন কোন লোকজন জানতে না পারে। সে জন্য গত অক্টোবর মাসে রাতের বেলায় উক্ত চারটি পদে বিদ্যালয়ে নামমাত্র নিয়োগ পরীক্ষা নেওয়া হয়। এরপর ওই চার প্রার্থীর কাছে মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে তাদের যোগদানপত্র দেয়া হয়। এ ব্যাপারে অভিভাবক সদস্য দেব্রত ভদ্র, পিয়ারী , জাকির ফারাজী, আবের আলী শেখ জানান, অত্র প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক অফিস সহায়ক পদে সুফিয়া খাতুনকে সনদ বানিয়ে নিয়োগ প্রদান করেছেন। এবং সভাপতি জিয়া মোল্যার স্ত্রী শারমিন বেগম তার বোন সুফিয়া খাতুনের লিখিত পরিক্ষাটি করে দেন। খাতা চেক করলে হাতের লেখায় প্রমাণ পাওয়া যাবে। আয়া পদে সোনালী দাসের শিক্ষাগত যোগ্যতা জাতীয় পরিচয় পত্রের মায়ের নাম ও জন্ম তারিখ মিল না থাকার স্বত্তেও যাচাই বাছাইয়ে বাদ দেওয়া হয়নি। তাকেও এ নিয়োগ দেয়া হয়েছে। তারা আরো বলেন, প্রধান শিক্ষকের ব্যানবেইস ও ব্যাংক হিসাব নম্বর ৯৬২৫। অথচ তিনি বেতন তোলেন ৯৬২৮ এ ব্যাংক এ্যাকাউন্ট থেকে। যা অবৈধ। প্রধান শিক্ষকের নিয়োগ অবৈধ। তার বিরুদ্ধে ২০০৭/৮ অর্থ বছরে মিনিষ্টির অডিটের আপত্তি দেওয়া হয়। ওই সময় প্রধান শিক্ষক তার নিয়োগে তিনি জাল স্বাক্ষর ও সিল তৈরি করেন। যা এখনো তদন্ত করলে থলের বিড়াল বেরি আসবে। এখনো তার বিরুদ্ধে শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের অডিট আপত্তি আছে। বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটির সভাপতি মো. জিয়া মোল্যার সাথে কয়েকদিন যাবত যোগাযোগ করার চেষ্ঠা করা হলে তার মুঠোফোনটি (০১৯৫৯৮০৯০৫১) বন্ধ পাওয়া যায়। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হাবিবুর রহমান তার বিরুদ্ধে মোটা অংকের উৎকোচের বিনিময়ে শিক্ষক নিয়োগের অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, বিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতির বোনকে অফিস সহায়ক পদে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। যারা আমার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ করেছেন তাদের মধ্যে থেকে নিয়োগ পেতে চেয়েছিল। তাদেরকে নিয়োগ দেয়া হয়নি। অত্র বিদ্যালয়ে ৪টি পদে প্রধান শিক্ষক হাবিবুর রহমান গোপনে প্রায় ২৮ লাখ টাকার বিনিময়ে এ নিয়োগ দিয়েছেন বেতন প্রসঙ্গে কথা হলে তিনি জানান, এ ব্যাংক ৯৬২৮ এ্যাকাউন্ট থেকে তুলে থাকি। ব্যাংক হিসাব নম্বর ৯৬২৫ টা সচল নেই। এইটার ব্যাপারে ব্যাংকে অবজেকশন দেয়া আছে। কিংবা কোনো সদস্য বা অভিভাবকরা কি মনে করল সেটা তার দেখার বিষয় নয়। যথাযথ নিয়মানুসারে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে অভয়নগর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার শহিদুল ইসলাম বলেন, এ নিয়োগ বিষয়টি নিয়ে ডিডি অফিস থেকে কোন তদন্ত হয়েছে কিনা আমার জানা নেই। অত্র প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক হাবিবুর রহমান আমার নিকট আসছিলেন এ বিষয়ে কথা বলতে। এই প্রতিবেদককে তিনি আরো জানান,
বিষয়টি আমি জানিনা।

সোশ্যাল মিডিয়া শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও খবর..
  • © All rights reserved ©দৈনিক চলনবিলের কথা dainikchalonbilerkotha
Theme Customized BY BD IT HOST