![](https://dainikchalonbilerkotha.com/wp-content/plugins/print-bangla-news/assest/img/print-news.png)
নিউজ ডেক্স
জিততে হলে করতে হবে ১৪৫। এমন অবস্থায় ৭৪ রানে ভারতের ৭ উইকেট পড়লো। শেষ ৩ উইকেট হাতে রেখে লোকেশ রাহুলের দলকে করতে হবে আরও ৭১ রান। এই অবস্থায় বোলিংয়ে থাকা দলের দিকেই তো পাল্লা ভারি হওয়ার কথা।
সব দলই এখান থেকে জিততে চাইবে। জেতাটাই স্বাভাবিক। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য, বাগে পেয়েও ভারতকে হারাতে পারেনি বাংলাদেশ। অষ্টম উইকেটে রবিচন্দ্রন অশ্বিন আর শ্রেয়াস আয়ারের অবিচ্ছিন্ন ৭১ রানের জুটি ভারতকে পৌঁছে দিয়েছে জয়ের বন্দরে।
নিশ্চিত জয় হাতছাড়া হওয়ায় আশাভঙ্গের বেদনায় নীল ভক্ত-সমর্থকরা। জয়ের সুবর্ণ সুযোগ হাতছাড়া হওয়ায় বাংলাদেশ দলের ক্রিকেটাররাও নিশ্চয়ই হতাশ। তবে অধিনায়ক সাকিব আল হাসান মনে করছেন, তার দল সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছে।
ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে সাকিব বলেন, ‘আক্ষেপ নেই। আমরা সাধ্যমত চেষ্টা করেছি। ওরা ভালো ব্যাট করেছে। তাই শেষ রক্ষা হয়নি। তাদের কৃতিত্ব দিতেই হয়।’
নিশ্চিত জয় হাতছাড়া হওয়ায় আশাভঙ্গের বেদনায় নীল ভক্ত-সমর্থকরা। জয়ের সুবর্ণ সুযোগ হাতছাড়া হওয়ায় বাংলাদেশ দলের ক্রিকেটাররাও নিশ্চয়ই হতাশ। তবে অধিনায়ক সাকিব আল হাসান মনে করছেন, তার দল সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছে।
ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে সাকিব বলেন, ‘আক্ষেপ নেই। আমরা সাধ্যমত চেষ্টা করেছি। ওরা ভালো ব্যাট করেছে। তাই শেষ রক্ষা হয়নি। তাদের কৃতিত্ব দিতেই হয়।’
কিন্তু কথোপকথনের একটা পর্যায়ে বোঝা গেল, ক্যাচ মিসে ভেতরে একটা অন্যরকম কষ্ট আছে। যে অশ্বিন আজ চতুর্থ দিন সকালে ৭২ মিনিটে ৬২ বলে ৪২ রানের হার না মানা ইনিংস খেললেন, তিনি অফস্পিনার মেহেদি মিরাজের বলে ব্যক্তিগত ১ রানেই ক্যাচ দিয়ে বসেছিলেন।
কিন্তু ফরোয়ার্ড শর্ট লেগে দাঁড়ানো মুমিনুল হক তা দু’হাতে নিয়েও ধরে রাখতে পারেননি। তখন বোর্ডে ভারতের রান ৭ উইকেটে ৮০। জয় থেকে ৬৫ রান দূরে দাঁড়িয়ে লোকেশ রাহুলের দল।
অশ্বিন সে সময় আউট হলে খেলার ফল ভিন্ন হতে পারতো। তবে কি একটি ক্যাচ মিসই সব শেষ করে দিলো? মুমিনুলের সে ব্যর্থতাতেই কি জয় হাত থেকে বেরিয়ে গেল? প্রেস কনফারেন্সে উঠল প্রশ্ন । সাকিব সরাসরি মুমিনুলকে দুষলেন না। বললেন, ‘ক্যাচ মিস খেলারই অংশ।’
এরপর অবশ্য কষ্টটা গোপন করতে পারেননি টাইগার দলপতি। বলে ফেলেন, ‘তবে এটা ঠিক যে আমরা যে অবস্থায় ক্যাচ ফেলেছি, অন্য দলগুলো এমন পরিস্থিতিতে ক্যাচ ট্যাচ তেমন মিস করে না।’
মুখে ‘আক্ষেপ নেই’ বললেও ক্যাচ ফেলা নিয়ে সাকিবের ভেতরে একটা চাপা ক্ষোভ আছে, বোঝা গেল কথায়, ‘আমাদের বোলারদের ১০ উইকেটের পতন ঘটাতে হলে ১৩ থেকে ১৪টি সুযোগ তৈরি করতে হয়।’
সাকিব যোগ করেন, ‘৭৪ রানে ৭ উইকেট ফেলে দেওয়ার পর আশাবাদী ছিলাম। ওই অবস্থা থেকে জয়ের আশা করাই যায়। আমরাও করেছি। প্রায় শেষ পর্যন্ত সে আশা ও চেষ্টা ছিল।’
ভারত জয় থেকে যখন ১৬ রান দূরে , তখনও আশা ছাড়েননি সাকিব। কিন্তু মিরাজের বলে অশ্বিন এক ছক্কা, দুই বাউন্ডারি আর একটি ডাবলসসহ ১৬ রান তুলে ভারতকে লক্ষ্যে পৌঁছে দেন।
ওই ওভারের আগে পর্যন্ত আশা ছিল জানিয়ে সাকিব বলেন, ‘মিরাজের বলে ওই ছক্কার পর মনে হলো, নাহ আর হলো না।’
সাকিব মনে করছেন, এ টেস্টে তার দল ভালো খেলেছে, ‘প্রথম ইনিংসের ব্যাটিংটুকু বাদ দিলে আমরা ভালোই খেলেছি। তবে এ ভালো খেলাটা ধরে রাখতে হবে আগামীতেও।’