Dhaka , Saturday, 27 April 2024
www.dainikchalonbilerkotha.com

নারী সমঅধিকার নয়, পাবে ন্যায্য অধিকার

সমঅধিকারে নারী ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
আর ন্যায্য অধিকারে নারী সম্মানিত হয়।
আমরা নারীর ক্ষতি চাইনা।
আমরা নারীর সম্মান চাই।
তাই আমরা সমঅধিকারের শ্লোগান তুলিনা।
আমরা দেই ন্যায্য অধিকারের শ্লোগান।

নারী আমার মা।
নারী আমার বোন।
নারী আমার স্ত্রী।
নারী আমার কন্যা।

সুতরাং নারী অপমানিত হলে আমার মা অপমানিত হয়। নারী ধর্ষিত হলে আমার বোন ইজ্জত হারায়।
নারীর লাঞ্ছনা আমার স্ত্রীর লাঞ্ছনা। নারী অধিকার থেকে বঞ্চিত হলে, আমার কন্যা অধিকার থেকে বঞ্চিত হয়।

সুতরাং শ্লোগান একটাই-

“কুরআন সুন্নাহর জীবন গড়ি
নারীর ন‍্যায‍্য অধিকার নিশ্চিত করি”

ইসলামই একমাত্র নারীকে সম্মানের সাথে অগ্রাধিকার দিয়েছে, দুনিয়ার অন্য কোন ইজম বা মতাদর্শ নারী জাতিকে সম্মান দিতে পারেনি বরং ওরা সমান অধিকারের নাম দিয়ে নারী জাতিকে বানিয়েছে ভোগের পণ্য করেছে অপমানিত। নারী তোমাকে সম্মান করি কারণ তুমি মেয়ে, স্ত্রী, মা, বোন, এ দুনিয়ায় যত সুন্দর অর্ধেক করিয়াছে তার নারী আর অর্ধেক করিয়াছে নর। তোমরা আছ বলেই আমরা পুরুষ হিসেবে দামী, আর আমরা আছি বলেই তোমরা নারী হিসেবে দামী। একে অপরের সম্পূরক সহযোগী প্রতিবন্ধক নই। তোমরা আমাদেরকে শত্রুর নজরে দেখলেও আমরা কিন্তু তোমাদেরকে সম্মানের দৃষ্টিতে দেখি।

ইসলামের নারীর মর্যাদা:

নারী যখন শিশু –
“যে ঘরে প্রথমে কন্যাসন্তান হয়, সে ঘর বরকতময়”।

নারী যখন কন্যা –
“যে তার কন্যাসন্তানকে সঠিকভাবে লালনপালন করে উপযুক্ত পাত্রের কাছে বিয়ে দেয়, তার জন্য জান্নাত ওয়াজিব”।

নারী যখন স্ত্রী –
“সেই পুরুষই সর্বোত্তম, যে তার স্ত্রীর কাছে উত্তম”।

নারী যখন গৃহিণী –
“স্ত্রীর দিকে মমতাময় দৃষ্টিতে তাকানোও পূণ্যের কাজ”।

নারী যখন গর্ভধারিণী –
“গর্ভাবস্থায় যে নারী মারা যায়, সে শহীদের মর্যাদা পায়”।

নারী যখন মা-
“মায়ের পায়ের নিচে সন্তানের বেহেশত”।

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

নারী সমঅধিকার নয়, পাবে ন্যায্য অধিকার

আপডেটের সময় 01:39 pm, Saturday, 9 March 2024

সমঅধিকারে নারী ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
আর ন্যায্য অধিকারে নারী সম্মানিত হয়।
আমরা নারীর ক্ষতি চাইনা।
আমরা নারীর সম্মান চাই।
তাই আমরা সমঅধিকারের শ্লোগান তুলিনা।
আমরা দেই ন্যায্য অধিকারের শ্লোগান।

নারী আমার মা।
নারী আমার বোন।
নারী আমার স্ত্রী।
নারী আমার কন্যা।

সুতরাং নারী অপমানিত হলে আমার মা অপমানিত হয়। নারী ধর্ষিত হলে আমার বোন ইজ্জত হারায়।
নারীর লাঞ্ছনা আমার স্ত্রীর লাঞ্ছনা। নারী অধিকার থেকে বঞ্চিত হলে, আমার কন্যা অধিকার থেকে বঞ্চিত হয়।

সুতরাং শ্লোগান একটাই-

“কুরআন সুন্নাহর জীবন গড়ি
নারীর ন‍্যায‍্য অধিকার নিশ্চিত করি”

ইসলামই একমাত্র নারীকে সম্মানের সাথে অগ্রাধিকার দিয়েছে, দুনিয়ার অন্য কোন ইজম বা মতাদর্শ নারী জাতিকে সম্মান দিতে পারেনি বরং ওরা সমান অধিকারের নাম দিয়ে নারী জাতিকে বানিয়েছে ভোগের পণ্য করেছে অপমানিত। নারী তোমাকে সম্মান করি কারণ তুমি মেয়ে, স্ত্রী, মা, বোন, এ দুনিয়ায় যত সুন্দর অর্ধেক করিয়াছে তার নারী আর অর্ধেক করিয়াছে নর। তোমরা আছ বলেই আমরা পুরুষ হিসেবে দামী, আর আমরা আছি বলেই তোমরা নারী হিসেবে দামী। একে অপরের সম্পূরক সহযোগী প্রতিবন্ধক নই। তোমরা আমাদেরকে শত্রুর নজরে দেখলেও আমরা কিন্তু তোমাদেরকে সম্মানের দৃষ্টিতে দেখি।

ইসলামের নারীর মর্যাদা:

নারী যখন শিশু –
“যে ঘরে প্রথমে কন্যাসন্তান হয়, সে ঘর বরকতময়”।

নারী যখন কন্যা –
“যে তার কন্যাসন্তানকে সঠিকভাবে লালনপালন করে উপযুক্ত পাত্রের কাছে বিয়ে দেয়, তার জন্য জান্নাত ওয়াজিব”।

নারী যখন স্ত্রী –
“সেই পুরুষই সর্বোত্তম, যে তার স্ত্রীর কাছে উত্তম”।

নারী যখন গৃহিণী –
“স্ত্রীর দিকে মমতাময় দৃষ্টিতে তাকানোও পূণ্যের কাজ”।

নারী যখন গর্ভধারিণী –
“গর্ভাবস্থায় যে নারী মারা যায়, সে শহীদের মর্যাদা পায়”।

নারী যখন মা-
“মায়ের পায়ের নিচে সন্তানের বেহেশত”।