Dhaka , Wednesday, 22 January 2025
শিরোনামঃ
পাবনা জেলার সব প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা উন্নত ভ্রমণ অভিজ্ঞতা নিশ্চিতে ‘সিট সিলেকশন’ ফিচার আনল শেয়ারট্রিপ মাদারীপুরের রাসূলনোমা দরবারের ওরসের তারিখ ঘোষণা বগুড়া-৪ আসনে জামানত হারালেন হিরো আলম পাবনা জেলার ৫টিতেই নৌকার প্রার্থী জয়ী পাবনার ভাঙ্গুড়ায় দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে ভোট গ্রহণ কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত। পাবনা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের বার্ষিক বনভোজন অনুষ্ঠিত চাটমোহরে বিএনপির গণসংযোগ ও লিফলেট বিতরণ এইচএসসি পরীক্ষায় সেরা অর্জনকারীদের সম্মাননা জানাল ইউসিবি ভাঙ্গুড়ায় স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুল হামিদ মাস্টারের নির্বাচনী অফিস উদ্বোধন

তাপমাত্রা বাড়লেও শীতে কাবু পাবনাবাসী

 

পাবনা (জেলা) প্রতিনিধি

পাবনা জেলার উপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। আবহাওয়াবিদরা বলছেন, পাবনা জেলার উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া মৃদু শৈত্যপ্রবাহ অব্যাহত থাকবে। বুধবার (১১ জানুয়ারি) পাবনা জেলায় ৭ দশমিক ৮ ডিগ্রি। সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। এর আগে ১০ জানুয়ারি ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ৯ জানুয়ারি ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ৮ জানুয়ারি ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। টানা চারদিন ধরে এ জেলায় মৃদু শৈত্যপ্রবাহ ছিল। এখানকার তাপমাত্রা প্রতিদিনই উঠানামা করছে।

উত্তরের জেলা পাবনা জেলায় তাপমাত্রা কিছুটা বাড়লেও কমেনি শীতের তীব্রতা। কুয়াশা আর হিমশীতল বাতাসের কারণে হাড় কাঁপানো শীত অনুভূত হচ্ছে। দুপুরের দিকে সূর্যের দেখা মিললেও কুয়াশার দাপটে উত্তাপ ছড়াতে পারেনি। টানা শৈত্যপ্রবাহে বিপাকে ছিন্নমূল, খেটে খাওয়া, দিনমজুর ও নিম্ন আয়ের মানুষ।

বুধবার (১১ জানুয়ারি) সকালে জেলার ভাঙ্গুড়া পৌর সদরের চৌবাড়ীয়া মাষ্টার পাড়া মহল্লার ভ্যানচালক সাইদুল ইসলাম বলেন, কয়েক দিন ধরেই বাতাস বইছে। পৌষের প্রথম সপ্তাহের পর থেকেই উত্তরের জেলা পাবনায় হাড় কাঁপানো ঠান্ডা শুরু হয়েছে। বেশ কিছুদিন ধরে দেশের উত্তরাঞ্চলে শৈত্যপ্রবাহ ও কুয়াশার কারণে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা স্থবির হয়ে পড়ছে। গত কয়েক দিন ধরে জেলাজুড়ে বইতে থাকে শীতল হাওয়া। যার ফলে শ্রমজীবী মানুষ চরম বিড়ম্বনার সম্মুখীন হচ্ছে। তবে গত দুই দিন হলো কুয়াশা ও শীতের তীব্রতা কিছুটা কমেছে। সারাদিন বাতাসের কারণে খুব ঠান্ডা। যাত্রীরা ভ্যানে উঠতে চায় না। আমরা যেখানে দিনে ৫০০/৬০০ টাকা আয় করতাম। এখন ২৫০/৩০০ টাকাও আয় হয় না।

ঈশ্বরদী আবহাওয়া অফিসের পর্যবেক্ষণ নাজমুল হক রন্জন জানান, উত্তরাঞ্চলের ওপর দিয়ে শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। ঈশ্বরদীতে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৭ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। এটি দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। দুই দিন হলো কুয়াশা ও শীতের তীব্রতা কিছুটা কমেছে। তবে শৈত্যপ্রবাহ অব্যাহত থাকবে।

জেলায় কুয়াশা ও শীতের তীব্রতা কমলেও শৈত্যপ্রবাহ অব্যাহত থাকায় চাহিদা আছে গরম কাপড়ের। পাবনা জেলার বিভিন্ন উপজেলায় অস্থায়ীভাবে গড়ে উঠা ফুটপাতের মার্কেটগুলোতে বাড়ছে শীতবস্ত্রের বিক্রির পরিমাণ। শীত থেকে কিছুটা স্বস্তি পেতে পোশাক কিনছেন নিম্নআয়ের মানুষ। গরম কাপড় কেনা-বেচা হচ্ছে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত। সারাদিনই দোকানে ক্রেতার ভিড় লেগেই থাকছে।

পুরাতন ও নতুন সোয়েটার, জ্যাকেট, শার্ট ও ট্রাউজারসহ কাপড়ের দোকানে গরম কাপড়ের সরবরাহ বাড়ছে। ফুটপাতের দোকানগুলো এখন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত ব্যস্ত থাকে। ফুটপাতের দোকানগুলোতে শীতের কাপড় কিনতে ভিড় জমাচ্ছেন নিম্নআয়ের মানুষ।

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Popular Post

পাবনা জেলার সব প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা

তাপমাত্রা বাড়লেও শীতে কাবু পাবনাবাসী

আপডেটের সময়: 04:35 pm, Wednesday, 11 January 2023

 

পাবনা (জেলা) প্রতিনিধি

পাবনা জেলার উপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। আবহাওয়াবিদরা বলছেন, পাবনা জেলার উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া মৃদু শৈত্যপ্রবাহ অব্যাহত থাকবে। বুধবার (১১ জানুয়ারি) পাবনা জেলায় ৭ দশমিক ৮ ডিগ্রি। সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। এর আগে ১০ জানুয়ারি ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ৯ জানুয়ারি ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ৮ জানুয়ারি ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। টানা চারদিন ধরে এ জেলায় মৃদু শৈত্যপ্রবাহ ছিল। এখানকার তাপমাত্রা প্রতিদিনই উঠানামা করছে।

উত্তরের জেলা পাবনা জেলায় তাপমাত্রা কিছুটা বাড়লেও কমেনি শীতের তীব্রতা। কুয়াশা আর হিমশীতল বাতাসের কারণে হাড় কাঁপানো শীত অনুভূত হচ্ছে। দুপুরের দিকে সূর্যের দেখা মিললেও কুয়াশার দাপটে উত্তাপ ছড়াতে পারেনি। টানা শৈত্যপ্রবাহে বিপাকে ছিন্নমূল, খেটে খাওয়া, দিনমজুর ও নিম্ন আয়ের মানুষ।

বুধবার (১১ জানুয়ারি) সকালে জেলার ভাঙ্গুড়া পৌর সদরের চৌবাড়ীয়া মাষ্টার পাড়া মহল্লার ভ্যানচালক সাইদুল ইসলাম বলেন, কয়েক দিন ধরেই বাতাস বইছে। পৌষের প্রথম সপ্তাহের পর থেকেই উত্তরের জেলা পাবনায় হাড় কাঁপানো ঠান্ডা শুরু হয়েছে। বেশ কিছুদিন ধরে দেশের উত্তরাঞ্চলে শৈত্যপ্রবাহ ও কুয়াশার কারণে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা স্থবির হয়ে পড়ছে। গত কয়েক দিন ধরে জেলাজুড়ে বইতে থাকে শীতল হাওয়া। যার ফলে শ্রমজীবী মানুষ চরম বিড়ম্বনার সম্মুখীন হচ্ছে। তবে গত দুই দিন হলো কুয়াশা ও শীতের তীব্রতা কিছুটা কমেছে। সারাদিন বাতাসের কারণে খুব ঠান্ডা। যাত্রীরা ভ্যানে উঠতে চায় না। আমরা যেখানে দিনে ৫০০/৬০০ টাকা আয় করতাম। এখন ২৫০/৩০০ টাকাও আয় হয় না।

ঈশ্বরদী আবহাওয়া অফিসের পর্যবেক্ষণ নাজমুল হক রন্জন জানান, উত্তরাঞ্চলের ওপর দিয়ে শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। ঈশ্বরদীতে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৭ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। এটি দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। দুই দিন হলো কুয়াশা ও শীতের তীব্রতা কিছুটা কমেছে। তবে শৈত্যপ্রবাহ অব্যাহত থাকবে।

জেলায় কুয়াশা ও শীতের তীব্রতা কমলেও শৈত্যপ্রবাহ অব্যাহত থাকায় চাহিদা আছে গরম কাপড়ের। পাবনা জেলার বিভিন্ন উপজেলায় অস্থায়ীভাবে গড়ে উঠা ফুটপাতের মার্কেটগুলোতে বাড়ছে শীতবস্ত্রের বিক্রির পরিমাণ। শীত থেকে কিছুটা স্বস্তি পেতে পোশাক কিনছেন নিম্নআয়ের মানুষ। গরম কাপড় কেনা-বেচা হচ্ছে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত। সারাদিনই দোকানে ক্রেতার ভিড় লেগেই থাকছে।

পুরাতন ও নতুন সোয়েটার, জ্যাকেট, শার্ট ও ট্রাউজারসহ কাপড়ের দোকানে গরম কাপড়ের সরবরাহ বাড়ছে। ফুটপাতের দোকানগুলো এখন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত ব্যস্ত থাকে। ফুটপাতের দোকানগুলোতে শীতের কাপড় কিনতে ভিড় জমাচ্ছেন নিম্নআয়ের মানুষ।