Dhaka , Thursday, 9 May 2024
www.dainikchalonbilerkotha.com
শিরোনামঃ

ফরচুন চায়না ২০২৩ ইমপ্যাক্ট ৬৫ লিস্টে স্থান রিয়েলমির

কার্যকরী উপায়ে নিজেদের করপোরেট সামাজিক দায়িত্ব পূরণে প্রচেষ্টার স্বীকৃতি হিসেবে মোবাইলফোন ব্রান্ড রিয়েলমি জায়গা করে নিয়েছে চীনের ফরচুন চায়না ২০২৩ ইমপ্যাক্ট ৬৫ লিস্ট অব স্টার্টআপসে। ব্যবসায়িক ক্ষেত্রে বিশ্বের অন্যতম প্রভাববিস্তারকারী ম্যাগাজিন হিসেবে ফরচুন চায়নার ইমপ্যাক্ট লিস্ট অব স্টার্টআপস ইন চায়না সেসব প্রতিষ্ঠানের উদ্যোগকেই তুলে ধরে, যেসব প্রতিষ্ঠান নিজেদের প্রতিশ্রুতি পূরণের মাধ্যমে সফলভাবে এগিয়ে যাচ্ছে।

বর্তমানে স্টার্টআপগুলো প্রযুক্তির মাধ্যমে সমাজের বিভিন্ন সমস্যা মোকাবিলা করে সমাজ ও মানুষের জীবনে অর্থপূর্ণ পরিবর্তন নিয়ে আসতে ভূমিকা রাখছে। নতুন বা উদীয়মান যেসব প্রতিষ্ঠান যারা ইতোমধ্যেই মানুষের জীবনের মানোন্নয়নে ভূমিকা রাখছে এবং নিজেদের ব্যবসায়িক কৌশলের গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসেবে বিভিন্ন সামাজিক ও পরিবেশগত সঙ্কট মোকাবিলায় উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছে এসব প্রতিষ্ঠানকে ইমপ্যাক্ট লিস্টে স্থানে দিয়ে স্বীকৃতি দেওয়া হয়।

নিজেদের যাত্রার শুরু থেকেই রিয়েলমি উদ্ভাবনী পণ্য, গবেষণা ও উন্নয়ন সক্ষমতা এবং সবুজ উন্নয়নে গুরুত্বারোপ করার মাধ্যমে রেকর্ড গড়ে আসছে। প্রতিষ্ঠার দুই বছরে, একটানা চার প্রান্তিকে দ্রুত বর্ধনশীল স্মার্টফোন ব্র্যান্ড হিসেবে স্বীকৃতি অর্জন করেছে রিয়েলমি এবং বৈশ্বিক স্মার্টফোন রপ্তানিতে সপ্তম স্থান অর্জন করেছে।

২০২১ সালে, রিয়েলমি মাত্র ৩৭ মাসে রেকর্ড ভেঙ্গে ১০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার সমমূল্যের পণ্য বিক্রির মাইলফলক অর্জন করে। সে বছরই, নতুন মূলধারার স্মার্টফোন ব্র্যান্ড হিসেবে রিয়েলমি প্রথমবারের মতো বিশ্বব্যাপী স্মার্টফোন বাজারে ষষ্ঠ স্থান অর্জন করে নেয়। ব্র্যান্ডটি ‘ডেয়ার টু লিপ’ প্রতিপাদ্যে ‘লিপ-ফরোয়ার্ড’ প্রযুক্তি ও ডিজাইনের মাধ্যমে তরুণদের ক্ষমতায়নের লক্ষ্য নিয়ে উদ্ভাবনী সব পণ্য নিয়ে আসছে, যা রিয়েলমির বিশ্বজুড়ে অভাবনীয় সাফল্য অর্জনে এবং তরুণ ক্রেতাদের আস্থা বিশেষ ভূমিকা রাখে।

পণ্য ও প্যাকেজিং ডিজাইনের ক্ষেত্রে রিয়েলমি পণ্য ও প্যাকেজিং -এর রিডাকশন, রিসাইক্লিং, রিইউজিং ও ডিগ্রেডেবিলিটিতে গুরুত্বারোপ করে ‘থ্রিআর+১ডি’ ডিজাইন কনসেপ্ট নিয়ে কাজ করে। রিয়েলমির প্রিমিয়াম গ্লোবাল ফ্ল্যাগশিপ জিটি২ প্রো বিশ্বের প্রথম স্মার্টফোন, যেখানে সম্পূর্ণ রিয়ার প্যানেলের জন্য বায়োপলিমার ব্যবহার করা হয়েছে, যা এর উৎপাদনের ক্ষেত্রে ৩৫.৫ শতাংশ কার্বন নিঃসরণ হ্রাসে ভূমিকা রেখেছে। সম্পূর্ণভাবে পেট্রোলিয়াম-ভিত্তিক উপকরণের তুলনায় বায়োপলিমার প্রতি এক কেজির ক্ষেত্রে দুই কেজি কম কার্বন নিঃসরণ করে। ফোনের প্যাকেজিং -এ ব্যবহৃত প্লাস্টিকের পরিমাণও ২১.৭ শতাংশ থেকে কমিয়ে ০.৩ শতাংশ করা হয়েছে – বলতে গেলে কোনো প্লাস্টিকই ব্যবহার করা হয়নি। একইসাথে, পরিবেশের ওপর নেতিবাচক প্রভাব কমাতে রিয়েলমি একটি সম্পূর্ণ প্রোডাক্ট রিসাইক্লিং সিস্টেম তৈরি করেছে।

আগস্ট মাসে রিয়েলমি এর পাঁচ বছর প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন করেছে, এর ‘লিপ-ফরোয়ার্ড ক্লাইম্বিং’ পরিকল্পনা উন্মোচন করেছে এবং নতুন লক্ষ্যের ঘোষণা দিয়েছে। ব্র্যান্ডটি এর ব্র্যান্ড ফিলোসফি ‘ডেয়ার টু লিপ’ -এর মাধ্যমে টেকসই উন্নয়নের দিকে যাত্রায় নিজেদের প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখবে এবং বিশ্বজুড়ে তরুণদের জন্য অত্যাধুনিক পণ্য উন্মোচন করবে।

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

অ্যাপ হিসেবে গুগল প্লে সিকিউরিটি ব্যাজ পেলো ইমো

ফরচুন চায়না ২০২৩ ইমপ্যাক্ট ৬৫ লিস্টে স্থান রিয়েলমির

আপডেটের সময় 11:28 am, Tuesday, 19 September 2023

কার্যকরী উপায়ে নিজেদের করপোরেট সামাজিক দায়িত্ব পূরণে প্রচেষ্টার স্বীকৃতি হিসেবে মোবাইলফোন ব্রান্ড রিয়েলমি জায়গা করে নিয়েছে চীনের ফরচুন চায়না ২০২৩ ইমপ্যাক্ট ৬৫ লিস্ট অব স্টার্টআপসে। ব্যবসায়িক ক্ষেত্রে বিশ্বের অন্যতম প্রভাববিস্তারকারী ম্যাগাজিন হিসেবে ফরচুন চায়নার ইমপ্যাক্ট লিস্ট অব স্টার্টআপস ইন চায়না সেসব প্রতিষ্ঠানের উদ্যোগকেই তুলে ধরে, যেসব প্রতিষ্ঠান নিজেদের প্রতিশ্রুতি পূরণের মাধ্যমে সফলভাবে এগিয়ে যাচ্ছে।

বর্তমানে স্টার্টআপগুলো প্রযুক্তির মাধ্যমে সমাজের বিভিন্ন সমস্যা মোকাবিলা করে সমাজ ও মানুষের জীবনে অর্থপূর্ণ পরিবর্তন নিয়ে আসতে ভূমিকা রাখছে। নতুন বা উদীয়মান যেসব প্রতিষ্ঠান যারা ইতোমধ্যেই মানুষের জীবনের মানোন্নয়নে ভূমিকা রাখছে এবং নিজেদের ব্যবসায়িক কৌশলের গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসেবে বিভিন্ন সামাজিক ও পরিবেশগত সঙ্কট মোকাবিলায় উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছে এসব প্রতিষ্ঠানকে ইমপ্যাক্ট লিস্টে স্থানে দিয়ে স্বীকৃতি দেওয়া হয়।

নিজেদের যাত্রার শুরু থেকেই রিয়েলমি উদ্ভাবনী পণ্য, গবেষণা ও উন্নয়ন সক্ষমতা এবং সবুজ উন্নয়নে গুরুত্বারোপ করার মাধ্যমে রেকর্ড গড়ে আসছে। প্রতিষ্ঠার দুই বছরে, একটানা চার প্রান্তিকে দ্রুত বর্ধনশীল স্মার্টফোন ব্র্যান্ড হিসেবে স্বীকৃতি অর্জন করেছে রিয়েলমি এবং বৈশ্বিক স্মার্টফোন রপ্তানিতে সপ্তম স্থান অর্জন করেছে।

২০২১ সালে, রিয়েলমি মাত্র ৩৭ মাসে রেকর্ড ভেঙ্গে ১০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার সমমূল্যের পণ্য বিক্রির মাইলফলক অর্জন করে। সে বছরই, নতুন মূলধারার স্মার্টফোন ব্র্যান্ড হিসেবে রিয়েলমি প্রথমবারের মতো বিশ্বব্যাপী স্মার্টফোন বাজারে ষষ্ঠ স্থান অর্জন করে নেয়। ব্র্যান্ডটি ‘ডেয়ার টু লিপ’ প্রতিপাদ্যে ‘লিপ-ফরোয়ার্ড’ প্রযুক্তি ও ডিজাইনের মাধ্যমে তরুণদের ক্ষমতায়নের লক্ষ্য নিয়ে উদ্ভাবনী সব পণ্য নিয়ে আসছে, যা রিয়েলমির বিশ্বজুড়ে অভাবনীয় সাফল্য অর্জনে এবং তরুণ ক্রেতাদের আস্থা বিশেষ ভূমিকা রাখে।

পণ্য ও প্যাকেজিং ডিজাইনের ক্ষেত্রে রিয়েলমি পণ্য ও প্যাকেজিং -এর রিডাকশন, রিসাইক্লিং, রিইউজিং ও ডিগ্রেডেবিলিটিতে গুরুত্বারোপ করে ‘থ্রিআর+১ডি’ ডিজাইন কনসেপ্ট নিয়ে কাজ করে। রিয়েলমির প্রিমিয়াম গ্লোবাল ফ্ল্যাগশিপ জিটি২ প্রো বিশ্বের প্রথম স্মার্টফোন, যেখানে সম্পূর্ণ রিয়ার প্যানেলের জন্য বায়োপলিমার ব্যবহার করা হয়েছে, যা এর উৎপাদনের ক্ষেত্রে ৩৫.৫ শতাংশ কার্বন নিঃসরণ হ্রাসে ভূমিকা রেখেছে। সম্পূর্ণভাবে পেট্রোলিয়াম-ভিত্তিক উপকরণের তুলনায় বায়োপলিমার প্রতি এক কেজির ক্ষেত্রে দুই কেজি কম কার্বন নিঃসরণ করে। ফোনের প্যাকেজিং -এ ব্যবহৃত প্লাস্টিকের পরিমাণও ২১.৭ শতাংশ থেকে কমিয়ে ০.৩ শতাংশ করা হয়েছে – বলতে গেলে কোনো প্লাস্টিকই ব্যবহার করা হয়নি। একইসাথে, পরিবেশের ওপর নেতিবাচক প্রভাব কমাতে রিয়েলমি একটি সম্পূর্ণ প্রোডাক্ট রিসাইক্লিং সিস্টেম তৈরি করেছে।

আগস্ট মাসে রিয়েলমি এর পাঁচ বছর প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন করেছে, এর ‘লিপ-ফরোয়ার্ড ক্লাইম্বিং’ পরিকল্পনা উন্মোচন করেছে এবং নতুন লক্ষ্যের ঘোষণা দিয়েছে। ব্র্যান্ডটি এর ব্র্যান্ড ফিলোসফি ‘ডেয়ার টু লিপ’ -এর মাধ্যমে টেকসই উন্নয়নের দিকে যাত্রায় নিজেদের প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখবে এবং বিশ্বজুড়ে তরুণদের জন্য অত্যাধুনিক পণ্য উন্মোচন করবে।