Dhaka , Thursday, 9 May 2024
www.dainikchalonbilerkotha.com
শিরোনামঃ

রক্ত দেখে টাকা না নিয়েই পালিয়ে যায় খুনি: পুলিশ

কালুখালীতে বিকাশ এজেন্ট ব্যবসায়ী শরিফ খানের (৪২) দোকান থেকে টাকা হাতিয়ে নিতেই তাঁকে হত্যা করা হয়। তবে হত্যার পর রক্ত দেখেই টাকা না নিয়েই পালিয়ে যান গ্রেপ্তার তরিকুল ইসলাম (২০)। হত্যার ঘটনায় তরিকুলকে গ্রেপ্তারের পর তাঁর দেওয়া প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে এসব তথ্য জানিয়েছে পুলিশ।

শুক্রবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) সকালে কালুখালী থানায় সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান সহকারী পুলিশ সুপার (পাংশা সার্কেল) সুমন কুমার সাহা।

নিহত ব‍্যবসায়ী শরিফ খান উপজেলার রতনদিয়া ইউনিয়নের ধানবাড়ীয়া গ্রামের মৃত হাকিম খাঁনের ছেলে। গ্রেপ্তার তরিকুল ইসলাম (২০) একই ইউনিয়নের রূপসা গ্রামের বাসিন্দা।

সংবাদ সম্মেলনে সহকারী পুলিশ সুপার (পাংশা সার্কেল) সুমন কুমার সাহা বলেন, গত ২১ ফেব্রুয়ারি রাত সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার রুপসা স্লুইস গেট বাজারে আবু বক্করের সেলুনের দোকানের সামনে থেকে বিকাশ এজেন্ট ব্যবসায়ী শরিফের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় পরদিন ২২ ফেব্রুয়ারি নিহত শরিফে স্ত্রী আছমা খাতুন বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে কালুখালী থানায় মামলা দায়ের করেন।

মামলার পর পুলিশ তদন্ত শুরু করে। তদন্তে বেড়িয়ে আসে গ্রেপ্তার তরিকুল অনলাইন জুয়া খেলায় আসক্ত ছিলেন। এতে তিনি অনেক টাকা খোয়ান তিনি। আবারও টাকা জোগাড়ের করার জন‍্য তিনি ব‍্যবসায়ী শরিফকে হত্যার পরিকল্পনা করেন।

রাজবাড়ীতে ব‍্যবসায়ীকে কুপিয়ে হত‍্যারাজবাড়ীতে ব‍্যবসায়ীকে কুপিয়ে হত‍্যা
সুমন কুমার সাহা আরও বলেন, গত ২১ ফেব্রুয়ারি রাতে শরিফ তাঁর ছেলে আরাফাত খানকে নিয়ে রুপসা গায়েবী মসজিদ মাঠে ওয়াজ মাহফিলে ছিলেন। রাত ১১টার দিকে তরিকুল ইসলাম ফোন করে শরিফকে জানায় তিনি বিকাশে টাকা পাঠাবেন। এই বলে বলে মাহফিল থেকে শরিফকে ডেকে আনেন। পরে তাঁর পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী রূপসা স্লুইস গেট বাজারে জাদুর সেলুনের সামনে ধারালো দা দিয়ে মাথায় একাধিক কোপ দিয়ে শরিফকে হত্যা করেন।

হত্যার কাজে ব্যবহৃত ধারালো দা উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শুক্রবার আসামিকে রাজবাড়ী আদালতে পাঠানো হয়েছে বলে জানান তিনি।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে সুমন কুমার সাহা বলেন, শরিফকে হত্যার পর রক্ত দেখে ভয় পেয়ে টাকা না নিয়েই ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায় তরিকুল।

সংবাদ সম্মেলনে কালুখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর হোসাইনসহ অন্য পুলিশ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

অ্যাপ হিসেবে গুগল প্লে সিকিউরিটি ব্যাজ পেলো ইমো

রক্ত দেখে টাকা না নিয়েই পালিয়ে যায় খুনি: পুলিশ

আপডেটের সময় 06:55 pm, Friday, 23 February 2024

কালুখালীতে বিকাশ এজেন্ট ব্যবসায়ী শরিফ খানের (৪২) দোকান থেকে টাকা হাতিয়ে নিতেই তাঁকে হত্যা করা হয়। তবে হত্যার পর রক্ত দেখেই টাকা না নিয়েই পালিয়ে যান গ্রেপ্তার তরিকুল ইসলাম (২০)। হত্যার ঘটনায় তরিকুলকে গ্রেপ্তারের পর তাঁর দেওয়া প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে এসব তথ্য জানিয়েছে পুলিশ।

শুক্রবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) সকালে কালুখালী থানায় সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান সহকারী পুলিশ সুপার (পাংশা সার্কেল) সুমন কুমার সাহা।

নিহত ব‍্যবসায়ী শরিফ খান উপজেলার রতনদিয়া ইউনিয়নের ধানবাড়ীয়া গ্রামের মৃত হাকিম খাঁনের ছেলে। গ্রেপ্তার তরিকুল ইসলাম (২০) একই ইউনিয়নের রূপসা গ্রামের বাসিন্দা।

সংবাদ সম্মেলনে সহকারী পুলিশ সুপার (পাংশা সার্কেল) সুমন কুমার সাহা বলেন, গত ২১ ফেব্রুয়ারি রাত সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার রুপসা স্লুইস গেট বাজারে আবু বক্করের সেলুনের দোকানের সামনে থেকে বিকাশ এজেন্ট ব্যবসায়ী শরিফের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় পরদিন ২২ ফেব্রুয়ারি নিহত শরিফে স্ত্রী আছমা খাতুন বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে কালুখালী থানায় মামলা দায়ের করেন।

মামলার পর পুলিশ তদন্ত শুরু করে। তদন্তে বেড়িয়ে আসে গ্রেপ্তার তরিকুল অনলাইন জুয়া খেলায় আসক্ত ছিলেন। এতে তিনি অনেক টাকা খোয়ান তিনি। আবারও টাকা জোগাড়ের করার জন‍্য তিনি ব‍্যবসায়ী শরিফকে হত্যার পরিকল্পনা করেন।

রাজবাড়ীতে ব‍্যবসায়ীকে কুপিয়ে হত‍্যারাজবাড়ীতে ব‍্যবসায়ীকে কুপিয়ে হত‍্যা
সুমন কুমার সাহা আরও বলেন, গত ২১ ফেব্রুয়ারি রাতে শরিফ তাঁর ছেলে আরাফাত খানকে নিয়ে রুপসা গায়েবী মসজিদ মাঠে ওয়াজ মাহফিলে ছিলেন। রাত ১১টার দিকে তরিকুল ইসলাম ফোন করে শরিফকে জানায় তিনি বিকাশে টাকা পাঠাবেন। এই বলে বলে মাহফিল থেকে শরিফকে ডেকে আনেন। পরে তাঁর পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী রূপসা স্লুইস গেট বাজারে জাদুর সেলুনের সামনে ধারালো দা দিয়ে মাথায় একাধিক কোপ দিয়ে শরিফকে হত্যা করেন।

হত্যার কাজে ব্যবহৃত ধারালো দা উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শুক্রবার আসামিকে রাজবাড়ী আদালতে পাঠানো হয়েছে বলে জানান তিনি।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে সুমন কুমার সাহা বলেন, শরিফকে হত্যার পর রক্ত দেখে ভয় পেয়ে টাকা না নিয়েই ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায় তরিকুল।

সংবাদ সম্মেলনে কালুখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর হোসাইনসহ অন্য পুলিশ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।