ভাঙ্গুড়া উপজেলা পরিষদের শহীদ মিনারের পাদদেশে ফুটে উঠেছে বাংলা বর্ণমালা ও রঙিন আলপনা। কেউ আঁকছেন ভাষা আন্দোলনের চিত্র, কেউবা লিখছেন বাংলা বর্ণমালা ও কালজয়ী গান— “আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি, আমি কি ভুলিতে পারি”।
ভাষার মাস উপলক্ষে একুশে ফেব্রুয়ারি কেন্দ্র করে এসব শিল্পকর্মে ব্যস্ত একঝাঁক তরুণ শিক্ষার্থী। তাদের সঙ্গে একাত্ম হয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাজমুন নাহার ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) তাসমীয়া আক্তার রোজী নিজ হাতে আলপনা এঁকে চিত্রকর্মের উদ্বোধন করেন।
শহীদ মিনার চত্বরে চলছে সাজসজ্জার কাজ। পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী আমিনুল ইসলামসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা এসব চিত্রকর্মের তদারকি করছেন। ইউএনও নাজমুন নাহার জানান, ১ ফেব্রুয়ারি থেকে শহীদ মিনার সংস্কার, রং ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজ শুরু হয়েছে, যা আজকের মধ্যেই সম্পন্ন হবে।
ভাঙ্গুড়া প্রেসক্লাবের সাংগঠনিক সম্পাদক ও আলোকিত বাংলাদেশের প্রতিনিধি আব্দুল আজিজ জানান, শহীদ মিনার এলাকাকে এবার আরও সুন্দরভাবে সাজানো হয়েছে, যা এবারের একুশে উদযাপনকে আরও গৌরবময় করে তুলবে।
বৃহস্পতিবার রাত ১২টা ১ মিনিটে উপজেলা প্রশাসন, পুলিশ, সেনা ক্যাম্প, রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন। দিবসটি উপলক্ষে সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, এনজিও অফিস, বাসাবাড়ি ও দোকানে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
শুক্রবার সকালে উপজেলা পরিষদের সম্মেলন কক্ষে একুশে ফেব্রুয়ারি উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়া, স্থানীয় মসজিদ ও মন্দিরে বিশেষ মোনাজাত ও প্রার্থনার আয়োজন করা হয়েছে।