মার্কিন প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়সহ বেশকিছু ফেডারেল সংস্থায় নব নিযুক্ত কর্মীদের ব্যাপক হারে ছাঁটাইয়ের নির্দেশ দিয়েছিল প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের প্রশাসন। তবে বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যের ফেডারেল জাজ উইলিয়াম আলসাপ এই পদক্ষেপ স্থগিতে সাময়িক আদেশ দিয়েছেন। ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।
এক শুনানির সময় তিনি বলেছেন, অতি গুরুত্বপূর্ণ নয় এমন শিক্ষানবিশ কর্মীদের চিহ্নিত করে ছাঁটাইয়ের জন্য গত ২০ জানুয়ারি ও ১৪ ফেব্রুয়ারি মেইলের মাধ্যমে নির্দেশনা দিয়েছে ইউএস অফিস অব পারসোনেল ম্যানেজমেন্টের (ওপিএম)। তবে ফেডারেল সংস্থার কোনও কর্মীকে, বিশেষত একবছরের কম অভিজ্ঞতাসম্পন্ন শিক্ষানবিশ কর্মীদের, ছাঁটাইয়ের আদেশ দেওয়ার এখতিয়ার নেই তাদের। তাই ওই মেইল তৎক্ষণাৎ বাতিল করার আদেশ দেন তিনি।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতা গ্রহণ করে একটি স্বাধীন পরামর্শক সংস্থা প্রতিষ্ঠা করেন। এর নাম হয় সরকারি সক্ষমতা বিভাগ (ডিপার্টমেন্ট অব গভর্নমেন্ট ইফিসিয়েন্সি বা ডোজে)। সংস্থাটি পরিচালিত হচ্ছে টেসলা ও স্পেস এক্স মালিক ইলন মাস্কের নেতৃত্বে। মার্কিন সরকারের ওপর বাজেট চাপ কমাতে বিভিন্ন খাতে ব্যয় কমানো ও কর্মী ছাঁটাইয়ের মতো পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছে তারা।
অবশ্য ব্যাপক কর্মী ছাঁটাইয়ের কঠোর সমালোচনা করছেন ডেমোক্র্যাট, ইউনিয়ন এবং ফেডারেল কর্মীরা। তাদের দাবি, এভাবে বলা কওয়া ছাড়া কর্মী ছাঁটাই অবৈধ এবং এতে সরকারের কার্যক্রমে ব্যাপক নেতিবাচক প্রভাব পড়বে।
আলসাপ বলেছেন, মামলাটি যৌথভাবে করেছে একাধিক ইউনিয়ন এবং অলাভজনক সংস্থা। এতে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বা অন্য কোনও সংস্থা আসামি হিসেবে অন্তর্ভুক্ত নয়। তাই, তাদেরকে কোনও পদক্ষেপ নিতে সরাসরি আদেশ তিনি দিতে পারছেন না।
উল্লেখ্য, শুক্রবার নাগাদ প্রায় পাঁচ হাজার ৪০০ শিক্ষানবিশ কর্মীকে ছাঁটাইয়ের সিদ্ধান্ত নিতে পারে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়।
এ বিষয়ে তিনি বলেছেন, এই ব্যাপক ছাঁটাই কর্মসূচি সরকারি কার্যক্রমে ব্যাপক নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে। কেননা, জাতীয় উদ্যান, বৈজ্ঞানিক গবেষণা, প্রবীণদের জন্য সেবা কার্যক্রমসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ কাজে লোকবল কমে যাওয়ায় সংকট সৃষ্টি করতে পারে।
বিচারক আলসাপ বলেছেন, প্রশিক্ষণার্থী কর্মীরাই আমাদের সরকারের প্রাণশক্তি। তারাই কাজের মাধ্যমে অভিজ্ঞতা অর্জন করে আরও বড় দায়িত্বের জন্য নিজেদের গড়ে তোলে। এভাবেই আমাদের সরকার পরিচালিত হয়।
আদালতের রায়ের বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানতে হোয়াইট হাউজে যোগাযোগের চেষ্টা করে সাড়া পায়নি রয়টার্স।
সোর্স : বাংলা ট্রিবিউন